জিও, ফেসবুক, গুগলদের হারিয়ে জয়ী স্টার স্পোর্টস, রেকর্ড অর্থে পেল বিসিসিআই-এর সম্প্রচার সত্ত্ব
একেই বলে 'ওস্তাদ'-এর মার। যার এক প্যাঁচেই ছিটকে বেরিয়ে গেল জিও থেকে শুরু করে সোনি টিভি। স্টার স্পোর্টস বুঝিয়ে দিল ক্রীড়াক্ষেত্রে এখনও তারা এক নম্বর ব্রডকস্টার সংস্থা।
একেই বলে 'ওস্তাদ'-এর মার। যার এক প্যাঁচেই ছিটকে বেরিয়ে গেল জিও থেকে শুরু করে সোনি টিভি। স্টার স্পোর্টস বুঝিয়ে দিল ক্রীড়াক্ষেত্রে এখনও তারা এক নম্বর ব্রডকস্টার সংস্থা। রেকর্ড অর্থে বিসিসিআই-এর দুই দেশের সিরিজের সমস্ত সত্ত্ব ৫ বছরের জন্য ব্যাগে পুরে নিল রূপাক মার্ডাকের সংস্থা স্টার স্পোর্টস।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর দুই দেশের সিরিজের টেলিভিশন সম্প্রচার ও ডিজিটাল সম্প্রচার সত্ত্ব কিনে নিয়েছে স্টার স্পোর্টস। এর জন্য বিসিসিআই-কে তাঁরা ৬১৩৮.১ কোটি টাকা দেবে।
সম্প্রচার সত্ত্ব কারা পাবে তা নিয়ে গত তিন দিন ধরে লাগাতার লড়াই হয়েছে। প্রতিটি মুহূর্তে উত্তেজনা ছিল চরমে। কারণ, সম্প্রচার সত্ত্ব পাওয়ার এই ই-অকশন লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল সোনি এবং রিলায়েন্স জিও। এরা সকলেই টেলিভিশন ও ডিজিটাল সত্ত্ব পাওয়াল লড়াই চালাচ্ছিল। শুধুমাত্র ডিজিটাল সত্ত্বের জন্য লড়াইয়ে নেমেছিল গুগুল ও ফেসবুক। কিন্তু, যোগ্যতা মান না পার করতে পারায় তারা প্রাথমিক স্তরেই বাদ পড়ে যায়।
বিসিসিআই এবারই প্রথম ই-অকশন-এর সত্ত্ব বিক্রির প্রক্রিয়া চালু করল। ২০১২ থেকে ১৮ সালে দেশে খেলা দুই দেশের ম্যাচের সম্প্রচার বাবদ স্টার স্পোর্টস ৩৮৫১ কোটি টাকা দিয়েছিল বিসিসিআই-কে। এবার সেই তুলনায় এবার দ্বিগুণ অর্থ দিচ্ছে স্টার স্পোর্টস।
এই সত্ত্ব পাওয়ার সঙ্গে এই মুহূর্তে বিশ্বে ক্রিকেট ম্যাচ সম্প্রচারে একচ্ছ্বত্র অধিপতি হল স্টার স্পোর্টস। ইতিমধ্যেই স্টার স্পোর্টস-এর হাতে রয়েছে ১৬,৩৪৭ কোটি টাকা মূল্যের সম্প্রচার সত্ত্ব। আইসিসি আয়োজিত সমস্ত ক্রিকেট ম্যাচের সত্ত্ব পেয়েছে স্টার স্পোর্টস। এরমধ্যে রয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও টি-২০ বিশ্বকাপ।
বিসিসিআই-এর সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি হওয়া নিয়ে প্রথম দিনের ই-অকশন-এর শেষ দর উঠেছিল ৪৪৪২ কোটি টাকা। বুধবার তা ৬০০০ কোটি টাকা-তে পৌঁছয়। গুগল ও ফেসবুক-সহ ৬টি সংস্থা ২০১৮-র মার্চ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১০২টি ম্যাচের সম্প্রচার সত্ত্বের জন্য় লড়াই করছিল। তবে, যাবতীয় শর্ত প্রয়োগ করে দেখা যায় স্টার স্পোর্টস, জিও, সোনি নেটওয়ার্কস-কে অনলাইন ফিনান্সিয়াল নিলামের জন্য যোগ্য বলে নির্বাচিত করা হয়েছিল।