স্টিভ স্মিথ শো, প্রস্তুতি ম্যাচে ইংরেজদের ১২ রানে হারালেন অজিরা
প্রাক্তন অজি অধিনায়কের ১০২ বলে ১১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসের দৌলতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ফেভারিট ইংল্যান্ডকে তাদেরই ঘরের মাঠে ১২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া।
স্টিভ স্মিথ ব্যাক ইন দ্য বিজনেস।
প্রাক্তন অজি অধিনায়কের ১০২ বলে ১১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসের দৌলতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ফেভারিট ইংল্যান্ডকে তাদেরই ঘরের মাঠে ১২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তিনশোর উপর রান তুললেও, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ২৯৭ তাড়া করতে নেমে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়লেন ইয়ন মর্গ্যানরা। জেমস ভিন্স ও জোস বাটলার ছাড়া কোনো ইংরেজ ব্যাটসম্যানই অজি বোলারদের সামনে সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। যা বিশ্বকাপ শুরুর মুখে ইংরেজদের পক্ষে অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাতে গোনা দর্শকদের সামনে টসে জিতে পরিচিত হলুদ-সবুজ জার্সিধারী অজিদের ব্যাট করতে পাঠান আকাশী-নীল পোশাকের ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে দলীয় ১৯ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান মার্ক উড। এরপর শন মার্শের সঙ্গে খেলা ধরার চেষ্টা করেন এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় ফেরা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দুই বাঁ-হাতি অজিদের স্কোর বোর্ডে ৬৩ রান যোগ করেন। ব্যক্তিগত ৫৫ বলে ৪৩ রানের মাথায় লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ১০৮ এবং ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন মার্শ-ও। এরপর গোটাটাই স্টিভ স্মিথ শো বলা চলে।
প্রাক্তন অজি অধিনায়ক যখন ক্রিজে পৌঁছন, তখন দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮২। কিন্তু ৪৯.৫ ওভারে যখন তিনি ফল-থ্রুতে ইংল্যান্ডের পেসার টম কুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পৌঁছে গেছে ২৯৬-তে। ভয়ডরহীন স্মিথ, নার্ভাস ৯৩ থেকে ৯৯-তে পৌঁছন বেন স্টোককে ছয় মেরে। পরের বলেই সিঙ্গেলস নিয়ে ৯৪ বলে শতরান পূর্ণ করেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। ৮টি চার ও ৩টি ছয় সম্বলিত স্মিথের এই ঝড়ো ইনিংস, বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বাকি ব্যাটসম্যানদের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৮৫ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ইংরেজদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ বলে ৬৪ রান করেন জেমস ভিন্স। ৩১ বলে ৫২ রান করেন জোস বাটলার।