বিশ্বকাপের আগে সেরা চমক, বাড়ির ঠিকানায় এবার সচিন-বিরাটের নাম!
বিশ্বকাপের আগে সেরা চমক, বাড়ির ঠিকানায় এবার সচিন-বিরাটের নাম!
চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্রিকেটের সেরা শোয়ের আসর। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সেই বিশ্বকাপ শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে কিনা জানা নেই, তবে তার আগে বড় চমক দিল অস্ট্রেলিয়া।
জয়ার সঙ্গে আলাপ
তিরুবারুর জেলার মান্নারগুড়ির শশীকলা স্কুল 'ড্রপ আউট'। তিনি ভিডিওর ব্যবসা করতেন। ১৯৮২ সালে শশীকলার স্বামী এম নটরাজন তাঁকে জয়ললিতার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। নটরাজন সেইসময়ে সরকারের জনসংযোগ আধিকারিক ছিলেন।[জয়ললিতার 'জয়া' থেকে 'আম্মা' হয়ে ওঠার কাহিনি]
সচিন ও বিরাটের নামে রাস্তা!
শনিবার ক্রিকেটভক্তদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অস্ট্রেলিয়ার একটি রাস্তার ছবি ভাইরাল হয়েছে।
জয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
জয়ার সঙ্গে আলাপের পরই ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায় শশীকলার। তখন থেকেই জয়ার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি। এরপরে ১৯৮৮ সালে জয়ললিতার বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তিনি।[জয়ললিতা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি সিংহভাগ মানুষ জানেন না]
রাস্তার নামে যখন ক্রিকেটঈশ্বর
পাশাপাশি দুদিকে ভাগ হয়ে যাওয়া রাস্তা দুটির একটিতে ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
দল থেকে বহিষ্কার
১৯৯৬ ও ২০১২ সালে এই দু'বার দলবিরোধী কাজের জন্য নিজের বাড়ি ও দল থেকে শশীকলাকে সরিয়ে দেন জয়া। তবে পরে কিছুদিনের মধ্যে ফিরিয়েও আনেন।[জে জয়ললিতার জীবনী একনজরে]
বিশ্বসেরা বিরাটের নামে রাস্তা
অন্যদিকে সচিনের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন বলে যাঁকে মনে করা হয়, ভারতের বর্তমান অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সেই বিরাট কোহলির নামে আরেকটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
স্বামীকে ছাড়লেও জয়াকে ছাড়েননি শশীকলা
১৯৯০ সালে এম নটরাজনকে জয়ললিতার বাড়ি থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে সেইসময়ে স্বামীর সঙ্গ দেওয়ার বদলে জয়ার সঙ্গেই থেকে যান শশীকলা।
দুই রাস্তার নাম কী
সচিনের নামের রাস্তার নাম 'তেন্ডুলকর ড্রাইভ' ও বিরাটের নামের রাস্তাটির নাম 'বিরাট ক্লেসেন্ট'।
শশীকলাকে ফের সরিয়ে দেওয়া
২০১২ সালে সমস্ত রকমের প্রশাসনিক বিষয় থেকে শশীকলাকে সরিয়ে দেন জয়ললিতা। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায় জয়ললিতা ও শশীকলার।
বাড়ির ঠিকানায় সচিন-বিরাটের নাম
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ক্রেতাদের মনে আগ্রহ বাড়াতে রাস্তার নামগুলি ক্রিকেটারদের নামে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক বরুণ শর্মা জানান, 'সচিন ও বিরাটের নামে রাস্তার নামকরণের পর ঐ রোডে মানুষের জমি-বাড়ি কেনার আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।' তিনি আরও জানান, 'বলা তো যায় না, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে বিরাট হয়ত তাঁর নামাঙ্কিত রাস্তা ধরেই ড্রাইভ করে ঘুরতে বেরোতে পারেন।'
পয়েজ গার্ডেনে ফিরে আসা
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে পয়েজ গার্ডেনের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন জয়ললিতা। নিজের সম্পত্তির কোনও উইল করেননি জয়া। তার সুযোগে শশীকলা পয়েজ গার্ডেনের বাড়ি অধিকার করে বসেন।
আরও ক্রিকেটারদের নামে রাস্তা
শুধু সচিন-বিরাটের নামেনই নয়। প্রাক্তন কিংবদন্তি স্টিভ ওয়ার নামে 'ওয়া স্ট্রিট', গ্যারি সোর্বাসের নাম 'সোর্বাস ড্রাইভ', রিচার্ড হ্যাডলির নামে 'হ্যাডলি স্ট্রিট', ওয়াসিম আক্রমের নামে 'আক্রম ওয়ে' নামকরণ করা হয়েছে।
পন্নিরসেলবমকে তুলে ধরা
জয়ার মৃত্যুর পরে প্রথমে ও পন্নিরসেলবমকে মুখ্যমন্ত্রী হতে বলেন শশীকলাই। তিনি হন এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক। দলের নিয়ম হল যিনি সাধারণ সম্পাদক হবেন, দল সরকারে থাকলে তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন।
পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে এর আগে দায়িত্ব সামলানো পন্নিরসেলবমই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। তবে অভিযোগ, শশীকলা ষড়যন্ত্র করে নিজে প্রথমে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ হাতিয়ে ঘুরিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেন।