ম্যালকম মার্শালের মতো মহম্মদ শামি, বললেন সুনীল গাভাস্কর
ইন্দোর টেস্টে মাত্র তিন দিনেই বাংলাদেশকে এক ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়েছে ভারত। ওই ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। তাঁর প্রশংসার পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশ্ব।
ইন্দোর টেস্টে মাত্র তিন দিনেই বাংলাদেশকে এক ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়েছে ভারত। ওই ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। তাঁর প্রশংসার পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশ্ব। আইসিসি প্রকাশিত টেস্টের ক্রম তালিকার সাত নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন বাংলার পেসার। মহম্মদ শামির চলতি ফর্ম দেখে তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান লেজেন্ড ম্যালকম মার্শালের সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কর।
দুর্দান্ত সিম মুভমেন্ট
বল ডেলিভারির সময় মহম্মদ শামির সিম ও রিস্ট পজিশনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় সুনীল গাভাস্কর। তাঁর কথায়, বল ছাড়ার একদম শেষ মুহর্তে একটি আঙুল হালকা করে নামিয়ে দেন শামি। তাতেই বল কেটে ব্য়াটসম্য়ানের দিকে যায়। নিবিষ্ট অনুশীলন ছাড়া এই কেরামতি সম্ভব নয় বলেই মনে করেন সুনীল গাভাস্কর। তাঁর কথায়, বলের সিম পজিশন ঠিকঠাক জায়গায় থাকলে যে উইকেট নেওয়া সম্ভব, তার জ্বলন্ত প্রমাণ মহম্মদ শামি।
১৯৮৩-র মার্শাল
মহম্মদ শামি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ১৯৮৩ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছেন সুনীল গাভাস্কর। বলেছেন, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং-র মতো বোলাররা থাকতেও, ম্যালকম মার্শালের হাতে নতুন বল তুলে দিতেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। কারণ মার্শালের মধ্যে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। মহম্মদ শামিও একই গুনের অধিকারি বলে মনে করেন সুনীল গাভাস্কর।
মিশাইল
সুনীল গাভাস্করের মতে, ম্যালকম মার্শালের মতো মহম্মদ শামির বলও মিশাইলের মতো ব্যাটসম্যানদের দিকে ছুটে যায়। পিচে পরার পর বল কেটে কখন ভিতরে ঢুকবে বা বাইরে বেরোবে, তা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে যায় বলেও মনে করেন ভারতীয় লেজেন্ড।
রঙ কোনও ব্যাপারই নয়
এই মুহূর্তে মহম্মদ শামি যে ফর্মে আছেন, তাঁর কাছে বলের রং কোনও পার্থক্য তৈরি করে না বলে মনে করেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মহম্মদ শামি। ইডেনে গোলাপি বলে শামি রাজা হতে পারেন বলেও বিশ্বাস করেন গম্ভীর।