সচিনের জন্মদিনের পার্টি ভেস্তে দিল সানরাইজার্স, ম্যাচ শেষে ওয়াংখেড়েয় শ্মশানের নিস্তব্ধতা
সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। এদিন ৪৫তম জন্মদিন পালন করলেন তিনি। শেষবেলায় এসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হার সেই আনন্দ খানিকটা হলেও মাটি করে দিল।
সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। এদিন ৪৫তম জন্মদিন পালন করলেন তিনি। শেষবেলায় এসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হার সেই আনন্দ খানিকটা হলেও মাটি করে দিল। ঘরের মাঠে ওয়াংখেড়েয় মাত্র ১১৮ রান তাড়া করতে নেমে আশ্চর্যভাবে ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সানরাইজার্স জয় পেল ৩১ রানে।
যদিও ২৪ এপ্রিল সচিনের জন্মদিনে তাঁকে জয় দিয়ে উপহার দেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ ছিল মুম্বইয়ের সামনে। পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে দল। এই অবস্থায় এদিন বিপক্ষকে এত কম রানে গুটিয়ে দিয়ে একদিকে যেমন রোহিত শর্মার দলের কাছে গ্রুপ তালিকায় ভালো ফলাফল করার সুযোগ ছিল, তেমনই মাস্টার-ব্লাস্টারকে জয় উপহার দিয়ে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে নিতে পারত মুম্বই।
এর কোনওটাই হল না ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বোলাররা ভালো খেললেও কোনও মুম্বই ব্যাটসম্যান নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে আসা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স গ্যালারি একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল। আরও বেশি হতাশা কারণ সচিনের জন্মদিনে দল জয় উপহার দিতে পারল না তাঁকে।
হায়দরাবাদ বোলাররা সামান্য রানের পুঁজি হাতে নিয়েও অসামান্য লড়াই করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন। এদিন সিদ্ধার্থ কউল ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট, রশিদ কান ৪ ওভারে ১১ রানে ২ উইকেট ও বেসিল থাম্পি ১.৫ ওভারে ৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের জেতায় জল ঢেলে দেন। মুম্বইয়ের হয়ে সূর্যকুমার যাদব ৩৪ রান ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ২৪ রান করেন। আর কেউই দুই অঙ্কের স্কোরে পৌঁছতে পারেননি।
এদিন ম্যাচের মাঝে গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে হ্যাপি বার্থ ডে সচিন বলে গেয়ে ওঠে। এছাড়া সারাদিন স্যোশাল মিডিয়ায় শুভানুধ্যায়ী থেকে ভক্তরা সচিন বন্দনায় মেতে ওঠেন। তবে মুম্বই হারায় শেষবেলায় এসে আনন্দের তাল কাটল।