ভারত অধিনায়ক থেকে বিসিসিআই প্রধান, দেখে নিন সৌরভের কেরিয়ার
বুধবার বিসিসিআই-র সভাপতি পদে বসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেটার থেকে ভারতের অধিনায়ক এবং দক্ষ প্রশাসক, এক নজরে মহারাজের কেরিয়ারের ঝলক দেখে নিন।
বুধবার বিসিসিআই-র সভাপতি পদে বসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেটার থেকে ভারতের অধিনায়ক এবং দক্ষ প্রশাসক, এক নজরে মহারাজের কেরিয়ারের ঝলক দেখে নিন।
শুরুর ব্যর্থতা
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফররত ভারতের একদিনের দলে ডাক পান তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ব্রিসবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৩ রান করে আউট হন মহারাজ। তাঁকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সঙ্গে তাঁর নামের পাশে 'অবিনয়ী' তকমা জুড়ে যায়।
স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্য়ান্সের নিরিখে ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড সফররত ভারতীয় দলে ফের ডাক পান মহারাজ। লর্ডসে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে সৌরভের ব্যাট থেকে আসা শতরান, ক্রিকেট বিশ্বের সম্পদ। এরপর ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা মোটামুটি পাকা হয়।
ভারতের অধিনায়ক অধিনায়ক
২০০০-এ ম্যাচ ফিক্সিং ও বেটিং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাছা হয় তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। যুবনীতি আমদানি করে ভারতীয় দলকে সাফল্যের রাস্তায় ফিরিয়ে আনেন বাংলার মহারাজ। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় দলে হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগ, যুবরাজ সিং, মহম্মদ কাইফ, জাহির খান, এমএস ধোনি, ইরফান পাঠান, গৌতম গম্ভীরের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ভারতীয় দলে সুযোগ পান। মহারাজের নেতৃত্বেই ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের নির্মাতা সৌরভকেই ধরা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গ চ্যাপেল
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ করার জন্য মত দেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই মহারাজের সঙ্গেই সংঘাতে জড়ান ওই অস্ট্রেলিয়ান। সৌরভকে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারাতে হয়। পরে জাতীয় দল থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।
ফিরে আসা
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ফের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ২০০৭ সালে ফের ভারতীয় দলে ডাক পান মহারাজ। সেই মরশুমে৬১.৪৪-র গড়ে টেস্টে ১১০৬ রান করেন সৌরভ। তার মধ্যে তিনটি শতরান (একমাত্র দ্বিশতরান) ও চারটি অর্ধ শতরান আসে মহারাজের ব্যাট থেকে। ওয়ান ডে-তে ৪৪.২৮-র গড়ে ১২৪০ রান করেন সৌরভ। ২০০৮ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বাংলার মহারাজ।
প্রশাসক
শুরুর দুই বছর সিএবি-র যুগ্ম সচিব পদে কাজ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে সিএবি-র সভাপতি থাকাকালীনই প্রয়াত হন বিসিসিআই ও আইসিসি-র প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি বাছা হয়।