রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভার, কীভাবে ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপ ফাইনালে কী ক্রিকেটটাই না দেখল দুনিয়া। ঐতিহাসিক লর্ডসে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করে ২৪১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংসও ৫০ ওভারে ২৪১ রানে থামে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে কী ক্রিকেটটাই না দেখল দুনিয়া। ঐতিহাসিক লর্ডসে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করে ২৪১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংসও ৫০ ওভারে ২৪১ রানে থামে। টাই হয়ে যাওয়া ম্যাচের ফয়সলা বেরোয় টানটান উত্তেজনায় ভরা সুপার ওভারে। দেখে নেওয়া যাক সেই ঐতিহাসিক দুই ওভার।
ইংল্যান্ডের সুপার ওভার
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন বেন স্টোকস ও জোস বাটলার। তারপর কী হল:
প্রথম বল বাঁ-হাতি বেন স্টোকসকে করেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরের বল তুলে মারতে গিয়ে মিসড টাইমড হন স্টোকস। বল ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যান ও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের মাঝখানে গিয়ে পড়ে। ৩ রান নেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি।
বোল্টের দ্বিতীয় বল সুইপ কপে ডিপ স্কোয়ার লেগে পাঠান জস বাটলার। নেন ১ রান।
তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেট রিজিয়ন দিয়ে চার বের করেন বেন স্টোকস।
বোল্টের চতুর্থ বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে এক রান নেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি।
পঞ্চম বলে ২ রান নেন জোস বাটলার।
বোল্টের ষষ্ঠ বল ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে চার হাঁকান ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক।
সুপার ওভারের প্রথম ৬ বলে ১৫ রান তোলেন ইংরেজরা।
নিউজিল্যান্ডের সুপার ওভার
১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামেন নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশহাম ও মার্টিন গাপটিল। বল হাতে ইংল্যান্ডের জোফ্রা আর্চার।
ওভারের প্রথম বল অফ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে ফেললে ওয়াইড দেন আম্পায়ার।
পরের বল লং অফের দিকে ঠেলে ২ রান নেন জেমস নিশহাম।
ওভারের দ্বিতীয় বল গুড লেন্থে ফেলেন আর্চার। ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারির উপর দিয়ে ছয় হাঁকাতে ভুল করেননি বাঁ-হাতি নিশহাম। (এরপর ৪ বলে ৭ রান করতে হত কিউই-দের।)
টানটান উত্তেজনায় আর্চারের ওভারের তৃতীয় বল সুইপ করে আরও ২ রান নেন নিশহাম। (ম্যাচ জিততে ৩ বলে ৫ রান করতে হত নিউজিল্য়ান্ডের।)
চতুর্থ বলে আরও ২ রান নেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ-হাতি। (২ বলে প্রয়োজন ৩ রান।)
আর্চারের পঞ্চম বলে সিঙ্গলস নিয়ে শেষ বল মার্টিন গাপটিলকে খেলার সুযোগ করে দেন নিশহাম। (১ বলে প্রয়োজন ২ রান। মাঠে টানটান উত্তেজনা। টেনশনে আর্চার। টেনশনে ইংল্যান্ড।)
আর্চারের শেষ বল ডিপ মিড উইকেটের দিকে ঠেলে ২ রান নেওয়ার চেষ্টা করেন গাপটিল। কিপার এন্ডে থ্রো পৌঁছয়। গাপটিলকে রান আউট করেন জোস বাটলার।
জিতল ইংল্যান্ড
ওভারে একটি ছয় মারেন নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশহাম। কিন্তু ইংল্যান্ড তাদের সুপার ওভারে ২টি চার মারায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ইয়ন মর্গ্যান শিবিরকে।