আর খানিক পরেই ইডেনে কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরু, দু'দলের শেষ ৫ ম্যাচ একনজরে
করব লড়ব জিতব রে অনেক হয়েছে এখনও আরও একদম এগিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই সরাসরি হুঙ্কার 'তৈয়ার হ্যায়'। নবীন রক্তে আজ কি বেঙ্গালুরু বধ ইডেনে ?
করব লড়ব জিতব রে অনেক হয়েছে এখনও আরও একদম এগিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই সরাসরি হুঙ্কার 'তৈয়ার হ্যায়'। নবীন রক্তে আজ কি বেঙ্গালুরু বধ ইডেনে ? এই নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে জোর তরজা। কে এগিয়ে? কে পিছিয়ে কলকাতা সমর্থকদের সঙ্গে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের।
শেষ ৫ ম্যাচের দিকে তাকালে কিন্তু একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরুর লড়াইয়ে। ধারে-ভারে বরাবরই এগিয়ে বেঙ্গালুরু। কিন্তু, কোন না কোনওভাবে কলকাতার কাছ থেকে মাত পেতে হয়েছিল বেঙ্গালুরুর। শেষ ৫ ম্যাচের কেমন ছিল লড়াইয়ের ছবিটা, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
প্রথম ম্যাচ, তারিখ ৭.০৫.১৭
এই
ম্যাচে
প্রথমে
ব্য়াট
করে
রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স
ব্যাঙ্গালোর
৬
উইকেটে
১৫৮
রান
সংগ্রহ
করেছিল।
মনদীপ
সিং
৪৩
বলে
৫২
রান
সংগ্রহ
করে
দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ
স্কোরার
ছিলেন
তাঁর
দলের
পক্ষে।
ম্য়াচে
৪টে
চার
ও
১টি
ছয়
মেরেছিলেন
মনদীপ।
তাঁর
স্ট্রাইক
রেট
ছিল
১২০.৯৩।
বিরাট
কোহলি
করেছিলেন
৯
বলে
৫
রান।
স্ট্রাইক
রেট
ছিল
৫৫.৫৫।
এ
বি
ডিভিলিয়ার্সও
এই
ম্যাচে
রান
পাননি।
করেছিলেন
মাত্র
৬রান।
টিএম
হেড
৪৭
বলে
৭৩
রান
করায়
আরসিবি
দেড়শ
রানের
গণ্ডি
পার
করেছিল।
এমনকী
ক্রিস
গেল
এই
ম্য়াচে
১টি
বল
খেলেই
শূন্য
রানে
আউট
হয়ে
যান।
জবাবে
ব্যাট
করতে
নেমে
কলকাতার
লিন
ও
নারিনের
ঝোড়ো
ব্যাটিং
দিশেহারা
হয়ে
গিয়েছিলেন
আরসিবি-র
বোলাররা।
লিন
২২
বলে
৫০
রান
করেছিলেন।
মেরেছিটলেন
৫টি
চার
ও
৪টি
ছয়।
অন্যপ্রান্তে
ওপেন
করতে
নামা
সুনীল
নারিন
১৭
বলে
৫৪
রান
করে
বুঝিয়েছিলেন
বোলিং-এর
সঙ্গে
সঙ্গে
ব্যাটাও
ভালোই
চালাতে
পারেন
তিনি।
১৫.১
ওভারের
জয়ের
জন্য
প্রয়োজনীয়
১৫৯
রান
তুলে
নিয়েছিল
কলকাতা।
এক
জম্য
মাত্র
৪টি
উইকেট
হারাতে
হয়েছিল।
বল
হাতে
২
উইকেট
এবং
মারকাটারি
ব্যাটিং-এর
জন্য
ম্যান
অফ
দ্য
ম্য়াচ
হয়েছিলেন
নারিন।
দ্বিতীয় ম্যাচ, তারিখ ২৩.০৪.১৭
আইপিএল-এ
কলকাতা
ও
ব্য়াঙ্গালোরের
মধ্যে
এক
অবিশ্বাস্য
ও
রুদ্ধশ্বাস
ম্যাচ।
ধারে
ও
ভারে
এগিয়ে
থাকা
ব্যাঙ্গালোরের
এই
ম্যাচে
এমন
হতশ্রী
পরাজয়
যেন
ছিল
অবাক
করার
মতো।
ম্যাচে
প্রথমে
ব্যাট
করে
কলকাতা
নাইট
রাইডার্স
১৯.৩
ওভারেই
১৩১
রানে
অল-আউট
হয়ে
যায়।
টি-টোয়েন্টির
আসরে
সহজ
পিচে
এত
কম
রান
কোনও
চ্যালেঞ্জই
নয়।
টসে
জিতে
কলকাতাকে
ব্যাট
করতে
পাঠিয়েছিলেন
ব্যাঙ্গালোরের
অধিনায়ক
বিরাট
কোহলি।
শুরুতেই
পিঞ্চ
হিটার
হিসাবে
নামা
সুনীল
নারিন
ব্য়াঙ্গালোরকে
ম্যাচ
থেকে
বাইরের
করার
যাবতীয়
ব্যবস্থা
নিতে
শুরু
করেছিলেন।
মাত্র
১৭
বলে
৩৪
রান
করেছিলেন
নারিন।
৬টা
চার
এবং
১টি
ছয়
মেরে
ব্যাঙ্গালোরের
বুকে
যেন
চেপে
বসেছিলেন
এই
ক্যারিবিয়ান
ক্রিকেটার।
কিন্তু
নারিন
আউট
হতেই
যেন
ধস
নেমেছিল
কলকাতার
ব্যাটিং
লাইন-আপে।
কুলদীপ
যাদব
যাকে
নিয়ে
এখন
এত
হইচই
সে
এই
ম্যাচে
৭
বলে
৪
রান
করে
বোল্ড
হয়েছিলেন।
ব্যাঙ্গালোরের
বোলার
চহাল
নিয়েছিলেন
৩
উইকেট।
জবাবে
ব্যাট
করতে
নেমে
ক্রিস
গেইল
ও
বিরাট
কোহলি-কেউই
বেশিক্ষণ
উইকেটে
টেকেননি।
গেইল
১৭
বলে
৭
রান
করে
আউট
হয়েছিলেন।
বিরাট
প্যাভিলিয়নের
রাস্তা
ধরেছিলেন
শূন্য
রান
করে।
এরপর
গোটা
আরসিবি
টিম
ছিল
আয়ারাম
ও
গয়ারামের
দলে।
কলকাতার
কোল্টার
নিল,
ওকস
এবং
গ্র্যান্ডহোমে
৩টি
করে
উইকেট
নিয়ে
কলকাতার
জয়ে
বড়
ভূমিকা
নিয়েছিলেন।
তিনটি
দামি
উইকেট
নিয়ে
ম্য়াচের
রঙ
বদলে
দেওয়ায়
কোল্টারকে
ম্যান
অফ
দ্য
ম্যাচ
নির্বাচিত
করা
হয়।
তৃতীয় ম্যাচ, তারিখ ১৬.০৫.১৬
এই
ম্যাচটি
ছিল
আইপিএল-৯,
অর্থাৎ
২০১৬
সালে।
প্রথমে
ব্যাট
করে
২০
ওভারে
৫
উইকেটে
১৮৩
রান
করে
চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে
দিয়েছিল
কলকাতা।
রবীন
উত্থাপা
এই
ম্যাচে
রান
না
পেলেও
গম্ভীর
৩৪
বলে
৫১
রান
করেছিলেন।
মণীশ
পাণ্ডে
৩৫
বলে
৫০
রান
করেন।
শেষ
দিকে
আন্দ্রে
রাসেলের
ঝোড়ো
৩৯
রানের
ইনিংস
কলকাতার
মোট
স্কোরকে
২০০-র
কাছাকাছি
নিয়ে
যায়।
১৯
বলে
এই
রান
করেছিলেন
রাসেল।
২টি
চার
ও
৩টি
ছয়
মেরেছিলেন
তিনি।
ব্যাঙ্গালোরের
এস
অরবিন্দ
নামে
এক
বোলার
২
টি
উইকেট
পকেটে
পুড়েছিলেন।
জবাবে
ব্যাট
করতে
নেমে
রয়্য়াল
চ্যালেঞ্জার্স
বেঙ্গালুরু
যেন
বুলডোজার
চালিয়েছিল
কলকাতা
নাইট
রাইডার্সের
উপরে।
গেল
ও
বিরাট
ঝড়ে
দিশেহারা
হয়ে
গিয়েছিল
কলকাতার
বোলিং
আক্রমণ।
গেল
মাত্র
২৮
মিনিট
উইকেটে
ছিলেন।
আর
তাতেই
৩১
বলে
৪৯
রান
করে
প্যাভিলিয়নের
রাস্তা
ধরেন।
৫টা
৪
ও
৪টা
ছয়
হাকিয়েছিলেন
'ক্যারিবিয়ান
হ্য়ারিকেন'।
বিরাট
৫১
বলে
৭৫
রান
করেছিলেন।
মেরেছিলেন
৫টি
চার
ও
৩টি
ছয়।
এ
বি
ডিভিলিয়ার্স
যেন
ছিলেন
আরও
নির্দয়ী।
৩১
বলে
৫৯
রান
করেছিলেন
এবি।
মেরেছিলেন
৫টি
চার
ও
৩টি
ছয়।
কলকাতার
বোলারদের
মধ্যে
সবচেয়ে
করুন
দশা
ছিল
রাসেলের।
২.৩
ওভারে
৩২
রান
দিয়েছিলেন
তিনি।
ম্যান
অফ
দ্য
ম্যাচ
নির্বাচিত
হয়েছিলেন
বিরাট।
চতুর্থ ম্যাচ, তারিখ ২.০৫.১৬
প্রথমে
ব্যাট
করে
২০
ওভারে
৭
উইকেটে
১৮৫
রান
করে
ব্য়াঙ্গালোর।
৩২
বলে
৫২
রান
করেন
কে
এল
রাহুল।
বিরাট
৪৪
বলে
৫২
রান
ও
শ্যেন
ওয়াটসন
২১
বলে
৩৪
করে
ব্যাঙ্গালোরের
স্কোরকে
২০০-র
কাছাকাছি
পৌঁছে
দেন।
কলকাতার
পক্ষে
মরকেল
ও
পীযূষ
চাওলা
২টি
করে
উইকেট
সংগ্রহ
করেন।
জবাবে
ব্যাট
করতে
নেমে
উত্থাপা
ও
গম্ভীরের
জুটি
বেশিক্ষণ
টেঁকেনি।
৪
বলে
১
রান
করে
প্যাভিলিয়নের
রাস্তা
ধরেন
উত্থাপা।
গম্ভীর
২৯
বলে
৩৭
রান
করেন।
ক্রিস
লিন
এলেও
১৫-র
বেশি
রান
সংগ্রহ
করতে
পারেননি।
এরপর
ইউসুফ
পাঠান
ও
আন্দ্র
রাসেল
খেলার
হাল
ধরেন।
পাঠান
২৯
বলে
৬০
রান
এবং
রাসেল
২৪
বলে
৩৯
রান
করে
ককাতাকে
জয়ের
কাছাকাছি
নিয়ে
গিয়েছিলেন।
শেষমুহূর্তে
সূর্যকুমার
যাদবের
মূল্যবান
১০
রানে
কাঙ্খিত
জয়
ছিনিয়ে
কলকাতা।
১৯.১
ওভারেই
৫
উইকেট
হারিয়ে
১৮৯
রান
সংগ্রহ
করেন
গম্ভীররা।
পঞ্চম ম্যাচ, তারিখ ২.০৫.১৫
এই
ম্য়াচটি
খেলা
হয়েছিল
আইপিএল
৯-এ।
প্রথমে
ব্য়াট
করে
কলকাতা
এই
ম্য়াচে
১০
ওভারেই
১১১
রানে
তোলে।
বৃষ্টি
বিঘ্নিত
এই
ম্যাচে
দু'দলই
১০
ওভার
করে
ব্যাট
করার
সুযোগ
পেয়েছিল।
উত্থাপা
এবং
রাসেল
ছাড়া
কেউই
উইকেটে
টিকে
থাকতে
পারেননি।
রানের
গতি
ঠিক
থাকলেও
একের
পর
এক
উইকেট
হারিয়ে
বিপর্যয়
ডেকে
এনেছিল
কলকাতা।
রবীন
উত্থাপা
২১
বলে
২৩
রান
করে
প্যাভিলিয়নের
রাস্তা
ধরেন।
গম্ভীর
৮
বলে
১২
রান
করে
আউট
হয়ে
যান।
রাসেল
১৭
বলে
৪৫
রান
করেছিলেন।
মেরেছিলেন
৫টি
চার
ও
৩টি
ছয়।
জবাবে
ব্যাট
করতে
নেমে
ঝড়
তোলেন
গেল।
৯
বলে
২১
রান
করে
প্যাভিলিয়নে
ফিরে
যান
তিনি।
বিরাট
২০
বলে
৩৪
রান
করেন।
মনদীপ
১৮
বলে
৪৫
রান
করে
অপরাজিত
থাকেন।
৯.৪
ওভারেই
৩
উইকেট
হারিয়ে
১১৫
রান
তুলে
নেয়
ব্যাঙ্গালোর।