খেলবেন কী, মাঠে সচিন-সৌরভকে দেখতেই ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তথা অধিনায়ক!
খেলবেন কী, মাঠে সচিন-সৌরভকেই দেখতেই যে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে বড়সড় অঘটন ঘটিয়েছিল বাংলাদেশের তরুণ ব্রিগেড। সেই দলের অন্যতম সদস্য তথা বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ওই ম্যাচের সঙ্গে জুড়ে থাকা নিজের এক স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। জেনে নেওয়া যাক সেই অভিজ্ঞতা।
ভারত বনাম বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পোর্ট অফ স্পেনে হওয়া ২০০৭ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। মাত্র ১৯১ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি মোর্তোজা। ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও মহম্মদ রফিক। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
দুই দলের ব্যাটিং
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কেবল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (৬৬) এবং যুবরাজ সিং (৪৭) ভারতের হয়ে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন দলের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৫৬ ও ৫৩ রান করেছিলেন যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম ও শাকিব আল হাসান। এই তিন ক্রিকেটার এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্তম্ভ।
সচিন-সৌরভকে দেখছিলেন তামিম
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি গর্ববোধ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাঠে নেমে খেলা ভুলে তিনি তাঁর ফেভারিট তথা কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়কেই মুগ্ধ হয়ে দেখছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন তামিম। ওই ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একদিক শক্তভাবে ধরে রেখেছিলেন সৌরভ। সেদিন 'দাদা'র ব্যাটিং থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার।
জাহিরকে চার
ভারতের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমে তিনি কিছুটা ভয়েই ছিলেন বলে জানিয়ছেন তামিম ইকবাল। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেগে ছুটে আসা জাহির খানের বল তিনি ফেস করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও দোটনায় ছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তামিম বলেছেন, জাহিরের প্রথম বল তিনি কোনওভাবে আটকেছিলেন। দ্বিতীয় বলে তিনি চার মেরেছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আত্মবিশ্বাস সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানিয়ছেন তামিম ইকবাল।
কার কোচিংয়ে লকডাউনের মাঝে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ঋদ্ধিমান