আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের চূড়ান্ত লড়াই কোন দুই সংস্থার মধ্যে?
আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের চূড়ান্ত লড়াই কোন দুই সংস্থার মধ্যে?
রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে চিনা সংস্থা ভিভো সরে দাঁড়ানোয় চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ কে পেতে চলেছে, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে দেশের ক্রিকেট তথা ব্যবসায়ী মহল। পরিবর্ত হিসেবে যে যে সংস্থা বিসিসিআইয়ের কাছে দরপত্র জমা দিয়েছিল, সেই সংখ্যা এখন দুইতে এসে দাঁড়িয়েছে। কোন কোন সংস্থার মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই, তা দেখে নেওয়া যাক।
দুই সংস্থার মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই
চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের দায়িত্ব কোন সংস্থার হাতে উঠবে, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, লড়াই এখন দুই সংস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিযোগিতায় অনলাইন এডুকেশন স্টার্টআপ ইউএন অ্যাকাডেমিকে টক্কর দিচ্ছে টাটা সন্স। এই দুই সংস্থার বিড করা অর্থ সর্বাধিক ও কাছাকাছি বলে খবর।
কতদিনের চুক্তি
যেহেতু কেবল এ বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ খোঁজা হচ্ছে, তাই যে সংস্থা এই দায়িত্ব পাবে, তাঁর সঙ্গে বিসিসিআই-এর চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ১৮ অগাস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী বছর ফের ভিভোকে স্বপদে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
কত দর হাঁকাতেই হবে
বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে আইপিএল ২০২০-এর টাইটেল স্পনসরশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী সংস্থা গুলিকে ৩০০ কোটির বেশি দর হাঁকাতেই হবে। এর নিচে বিড করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার দরপত্র বাতিল করা হবে বলে বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
দরপত্র জমা
১৪ অগাস্ট অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সব আগ্রহী সংস্থা আইপিএল ২০২০-এর টাইটেল স্পনসরশিপের বিড জমা দেয়। [email protected]এ মেল করে এই দরপত্র পাঠায় সংস্থাগুলি। মেলের সাবজেক্ট লাইন ছিল 'EOI for Title Sponsor for IPL 2020'।
কবে ফল প্রকাশ
আইপিএল ২০২০-এর নতুন টাইটেল স্পনসর হবে কোন সংস্থা, তা ১৮ অগাস্টই জানা যাবে। যেমনটা আগেই জানিয়েছিলেন আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল। শুধু তিনি সময় জানাননি। বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে সকাল ১১টি থেকে দুপুর ১টা।
ভিভো ও বিসিসিআই চু্ক্তি
আইপিএলের টাইটেল স্পনসরার হিসেবে ভিভোর সঙ্গে ২০২৩ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে বিসিসিআইয়ের। পাঁচ বছরের হিসেবে বিসিসিআই-কে প্রতি মরশুমে ৪৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা চিনা সংস্থার। এত পরিমাণ টাকা এই মুহূর্তে বিসিসিআই কোনও সংস্থাই দিতে রাজি হচ্ছে না বলে খবর। সেক্ষেত্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের একশো থেকে দেড়শো কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।