রবিবার বর্ডার!কী বুঝলেন না , বুঝতে জেনে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লড়াই
বাংলাদেশকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত, ধামাল পারফরমেন্স দেখালেন কারা। কারা বদলে দিলেন ম্যাচের রঙ।
কোনও অঘটন নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব বিভাগেই দুরন্ত ভারতীয় দল। জয়ের জন্য ভারতীয় দলের প্রয়োজন ছিল ২৬৫ রান।মাত্র ৪০.১ ওভারে একটি মাত্র উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমেই দুরন্ত শুরু করেন ভারতীয় ওপেনিং জুটি। রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের জুটিতে ওঠে ৮৭ রান। ৩৪ বলে ৪৬ রান করেন ধাওয়ান। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতরান মিস করেন এই বাঁহাতি। তবে রোহিত কোনও ভুল করেননি। এজবাস্টনের ব্যাটিং সহায়ক পিচের ফায়দা নিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজের দ্বাদশ শতরান সেরে নিলেন রোহিত।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটি রোহিতের দ্বিতীয় শতরান।
রোহিতকে এদিন যোগ্য সঙ্গত দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। রোহিতের উল্টোদিকে ধামাকা পারফরমেন্স ছিল বিরাটেরও। বাংলাদেশী বোলারদের উড়িয়ে দিয়ে তিনিও ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন ভারতীয় রানমেশিনদের আটকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশী বোলাররা।মাত্র ১২৯ বলে ১২৩ রান করার জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পান রোহিত।
এদিকে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সৌম্য সরকারকে শূন্য রানে আউট করে দিয়ে প্রথমেই ঝটকা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু দুরন্ত ফর্মে থাকা তামিম ইকবাল এদিনও দুরন্ত। দায়িত্বশীলভাবে বাংলাদেশের স্কোর এগিয়ে দেন। শাব্বির রহমানকেও বিশেষ কিছু করতে দেননি ভুবি। তামিম ইকবালকে যোগ্য সঙ্গত দেন মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের জুটি যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে তখন অধিনায়ক বিরাট কোহলি বোলিং পরিবর্তন করে কেদার যাদবের হাতে বল তুলে দেন।
ক্যাপ্টেন কোহলির এই সিদ্ধান্তই কামাল করে দেয়। দুই সেট ব্যাটসম্যানকেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দেন কেদার যাদব। তামিম ইকবাল ৭০ রান করে আউট হয়ে যান। মুশফিকুর রহিম ৬১ রান করে আউট হন। এরপর বাংলাদেশের রান ওঠার গতি কিছুটা কমে। শেষদিকে অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজার ঝোড়ো ৩০ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
রবিবার লন্ডনের ওভাল ফের জমজমাট। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিতর্কিত পরিস্থিতির জেরে চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াই থেকে বঞ্চিত থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেখানে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দু'বার ব্লকবাস্টার দেখার সুযোগ। ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন উৎসাহিত ঠিক তেমনিই চাঙ্গা কোহলি এন্ড কোং। খেতাব রক্ষার লড়াইতে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মজাই যে আলাদা।