২০১১-র ফাইনালে পাঁচে ধোনি, পরামর্শ সচিনেরই, বললেন শেহওয়াগ
২০১১-র ফাইনালে পাঁচে ধোনি, পরামর্শ সচিনেরই, বললেন শেহওয়াগ
১৯৮৩ সালের পর ২০১১, ২৮ বছর পর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হাতে এসেছিল ভারতের। ২০০৩ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন ভারত ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেও কাপ নিয়ে ফিরতে পারেনি। তবে পেরেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়া। সেই টুর্নামেন্ট এবং এমএস ধোনি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানালেন বিশ্বকাপ জয়ী সেই টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সদস্য তথা লেজেন্ড সচিন তেন্ডুলকর।
আগে ব্যাট শ্রীলঙ্কার
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। টসে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ভারত
জবাবে ৩১ রানের মাথায় ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও সচিন তেন্ডুলকরকে হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। এরপর তরুণ গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির মধ্যে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। কোহলি ৩৫ রান করে আউট হওয়ার পর নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর ১০৯ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৯৭ রান করে আউট হয়েছিলেন গাউতি। ধোনি ৯১ রান করে অপরাজিত থেকে ভারতের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন।
অভিনব সিদ্ধান্ত
ওই বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া যুবরাজ সিং, গোটা টুর্নামেন্টে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই সিদ্ধান্তই যেন ভারতের হাতে বিশ্বকাপটি তুলে দিয়েছিল। এই অভিনব সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন ধোনি নিজে, এমনটাই জানতেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু গল্পে যে মোচড় রয়েছে, তা জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর।
সচিনের বক্তব্য
সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তা ধোনি ও টিম ইন্ডিয়ার সেই সময়ের কোচ গ্যারি কার্স্টেন মেনেও নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সচিন। মাস্টার ব্লাস্টারের কথায়, তখন ক্রিজের একদিকে ছিলেন বাঁ-হাতি গৌতম গম্ভীর। সেই সময় ডান হাতি এমএস ধোনি নামায় দুই হাতের কম্বিনেশনে শ্রীলঙ্কার বোলারদের ব্যতিব্যস্ত করাই পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি।
সচিনকেই ঠিক বললেন শেহওয়াগ
সচিন তেন্ডুলকর যে সঠিক কথা বলেছেন, তা জানালেন ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য তথা ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। বলেছেন, আউট হয়ে যাওয়ার পর ড্রেসিংরুমে তিনি সচিন তেন্ডুলকরের পাশেই বসেছিলেন। মাস্টার ব্লাস্টারের বার্তা তিনিই প্রথম গিয়ে এমএস ধোনিকে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি বীরুর। এরপর সচিনও আলাদা করে ধোনিকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। সেই পরিকল্পনা কাজে এসেছিল বলেও দাবি করেছেন লেজেন্ড বীরু।