ব্রিটেনে সন্ত্রাস হামলা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কতটা সুরক্ষিত?
আর কয়েকদিন পরে জুনের ১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে এভাবে ম্যাঞ্চেস্টারে সন্ত্রাস হামলার ঘটনায় চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে।
ইউরোপও আর সন্ত্রাস হামলার হাত থেকে মুক্ত নয়। শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিই নয়, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিও এখন সন্ত্রাসের কবলে পড়ে নাভিঃশ্বাস ছাড়ছে। একেরপর এক হামলায় কার্যত রাতের ঘুম ছুটেছে ইউরোপীয় মহাদেশের সমৃদ্ধশালী দেশগুলির প্রশাসনের। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইংল্যান্ডের মতো দেশ একের পর এক সন্ত্রাস হামলার শিকার হয়ে চলেছে।
আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইসলামিক জঙ্গিদের হাতে রক্তাক্ত হতে হয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। চারিদিকে কড়া সতর্কতা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়েও সামলানো যাচ্ছে না সন্ত্রাসী হামলা। ব্রাসেলস থেকে নিস, বার্লিন থেকে ম্যাঞ্চেস্টার- এর প্রমাণ দিচ্ছে। এই হামলায় যদিও এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এরই মধ্যে আর কয়েকদিন পরে জুনের ১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে এভাবে সন্ত্রাস হামলার ঘটনায় চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে।
আইসিসি-র তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এমনকী ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও সন্ত্রাস হামলার পরই কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠছেই। কারণ ক্রিকেট বিশ্বের সেরা দেশগুলিকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট। সেখানে কোনওরকম গোলমাল হওয়া নামে তা ক্রিকেট বিশ্বে শোরগোল ফেলে দেবে।
এর আগে ভারত, বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরপর অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড অথবা ইংল্যান্ডের মতো দেশ সফর বাতিল করেছে। স্পষ্ট জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সফর করা সম্ভব নয়।
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর সফররত ইংল্যান্ড দল ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশ সফর নিরাপত্তার কারণে বাতিল করে দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে। একই কারণে নিউ জিল্যান্ডও একবার ভারতে খেলতে আসেনি।
আর এসবের পিছনেই মুখ্য কারণ ছিল সন্ত্রাসবাদ। ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশে যেখানে সন্ত্রাস হামলার একের পর এক সফর বাতিল করেছে ইংল্যান্ড নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশ, সেখানে এতবড় হামলার পর ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলা কতটা সুরক্ষিত, সেই প্রশ্ন উঠছেই।