ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে হচ্ছেটা কী, সিইও-কে সরাতে সরব দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিসিসিআই সদস্যরা
কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটদের আক্রমণের পর এবার বিসিসিআই কর্তারা সম্মুখ সমরে
দিন দুয়েক আগে সিওএ বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিল অনিরুদ্ধ চোধুরী ও অমিতাভ চৌধুরী বোর্ডের ফান্ড নিয়ে নয়ছয় করছেন। বিভিন্ন ভাবে বোর্ডের টাকা পয়সা খরচ করছেন। বিসিসিআই কর্তারাও যে চুপ করে থাকার পাত্র নন তা বুঝিয়ে দিলেন।
এবার বিসিসিআই কর্তাদের লক্ষ্যে বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি। বোর্ড কর্তারা জানিয়েছেন যে এই সিইও অত্যন্ত দামি। তাই তাঁকে বোর্ডে রাখার প্রয়োজন নেই। এই বলেই শুধু তাঁরা ক্ষান্ত হননি। জোহরির পিছনে বিসিসিআইয়ের কত খরচ হয়, তার খতিয়ানও দিয়েছেন বোর্ড কর্তারা। রাহুল জোহরির এক বছরের বেতন ৫ কোটি টাকা। এরওপর তিনি যখন ট্যুরে থাকেন তখন দৈনিক ৫০০ ডলার করে ভাতা পান। গত বছর রাহুল জোহরি ১২৩ দিন ট্যুরে ছিলেন। ফলে বোর্ড কর্তাদের দাবি তাঁকে পুষতে বোর্ডের খরচ হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
সিওএ- যেভাবে বিসিসিআই কর্তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তাতে বেজায় চটেছেন তারা। তাঁরা বলছেন যেভাবে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বিসিসিআই আধিকারিকরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। বিমান ভাড়ার জন্য টাকা খরচের নমুনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই আধিকারিকরা তো কাজের জন্যই সর্বত্র যাতায়াত করেন। কিন্তু বাকি পদস্থ আধিকারিকরা যে খরচগুলো করেছেন তার নমুনা দেওয়া হয়নি।
দিন কয়েক আগে সিওএ-র চাঞ্চল্যকর অভিযোগে ফের বোর্ডে আলোড়ন। বর্তমান প্রশাসনিক কর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর। সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে বোর্ডের তিন প্রশাসনিক কর্তার ব্যবহার 'আনফিট' এবং তাঁরা লোধা-র প্রস্তাবকে কার্যকর করার জন্য আদর্শ অবস্থায় নেই।
এরপরেই ফের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল বোর্ড কর্তা এবং সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটি। বোর্ড-কর্তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক, এই মর্মে দেশের শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে বোর্ডের প্রশাসনিক কমিটি বা সিওএ।