আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথের কাঁটা হতে পারেন যাঁরা এবং কেন
আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথের কাঁটা হতে পারেন যাঁরা এবং কেন
দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আইসিসি-র শীর্ষ পদে বসতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হলেও পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট যে মহারাজের অনুকূলে, তা কিন্তু স্পষ্ট। তবে এ যাত্রায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথের কাঁটা হতে পারেন দুই ভারতীয় রথি।
কবে হতে পারে আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচন
করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বে স্থগিত রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট ইভেন্ট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবার আগে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর আইসিসি। অন্যদিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাইতে আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচন হওয়ার কথা। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে ভোট পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদ
আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে মেয়াদ সম্পন্ন করেছেন শশাঙ্ক মনোহর। নিয়ম অনুযায়ী ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি কলিন গ্রেভসের। সেই নিয়মে পরিবর্তন হতে পারে তখনই, যখন এই পদের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী দেবে বিসিসিআই। এমন প্রার্থী, যাঁকে বিসিসিআই-র বর্তমান কিংবা প্রাক্তন পদাধিকারি হতে হবে। একই সঙ্গে সেই প্রার্থীকে আইসিসি-র বর্তমান কিংবা প্রাক্তন বোর্ড সদস্যও হতে হবে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা কমিটির তৈরি সংবিধান অনুযায়ী আগামী জুলাই পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি থাকতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। মামলার রায় বিপক্ষে গেলে তো সব আশা শেষ। তবে ফল পক্ষে থাকলে সৌরভই যে আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচন লড়ার যোগ্যতম প্রার্থী, তা মেনে নিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি বিসিসিআই বোর্ড সদস্যও হয়েছেন মহারাজ।
প্রতিদ্বন্দ্বী এক
আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিত্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সবচেয়ে বেশি বেগ দিতে পারেন, তিনি আর কেউ নন, প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি এস শ্রীনিবাসন। আইসিসি-র শীর্ষ পদ সামলানোর অভিজ্ঞতা থাকার খাতিরে তিনি এই নির্বাচনে ফের লড়তেই পারেন। তবে এর জন্য তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া বয়সজনিত মামলায় জিততে হবে। শীর্ষ আদালত মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা কমিটির তৈরি সংবিধান অনুযায়ী ক্রিকেট প্রশাসক পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না সত্তরোর্ধ শ্রীনিবাসন।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই
আইসিসি-র শীর্ষ পদের নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষেত্রে প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের নাম নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার সৌজন্যে তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে নিজেকে জুড়তে চাইবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।