আইপিএল বনাম বিশ্বকাপ! ক্ষতিপূরণের 'বিরাট'-প্রস্তাব বিসিসিআইকে
ভারতীয় পেসারদের আইসিসি বিশ্বকাপে তাজা রাখতে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট চান না যে তাঁরা পরের বছর আইপিএল-এ খেলুন।
২০১৯ সালে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএল। কিন্তু আইপিএল-এ এবার কতটা জৌলুস থাকবে তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ এবার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নাও দেখা যেতে পারে ভূবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাদের মতো ভারতীয় দলের সিনিয়র পেসারদের।
কারণ জানা গিয়েছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এরকমই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আইপিএল বনাম বিশ্বকাপ
২০১৯-এ আইপিএল শেষ হবে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। আর আইসিসি বিশ্বকাপ শুরু হবে ৩০ মে থেকে। ফাইনাল হবে ১৪ জুলাই। এই অবস্থায় ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে পেসাররা আইপিএল খেলার ধকল নিলে বিশ্বকাপের সময় তাদের ১০০ শতাংশ তাজা অবস্থায় পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন বিরাট।
সিওএ-র বৈঠকে প্রস্তাব
ইংল্যান্ডে একদিনের ম্যাচে ২-১'এ পরাজিত ওয়ার পর টেস্ট সিরিজে ভারত ৪-১ ফলে হারে। এরপর এই খারাপ পারম্যান্সের পর হারের পর্যালোচনার জন্য ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির বিনোদ রাই ও ডায়না এডুলজি এক বৈঠক করেছিলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এক সর্বভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী সেখানেই এই প্রস্তাব দেন কোহলি। সেই বৈঠকে কোহলি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেস্ট ও একদিনের দলের সহঅধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ও রোহিত শর্মা। ছিলেন কোচ রবি শাস্ত্রী ও নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ।
রুটি-রুজিতে টান
একথা ঠিক যে আইপিএল খেললে বিশ্বকাপে ১০০ শতাংশ সুস্থ অবস্থায় পেসারদের পাওয়া নাও যেতে পারে। ভারতীয় দলের ত্রিকেটারদের চোট-আঘাত থেকে মুক্ত রাখতে এখন থেকেই বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আইপিএল-এর বালাই বড় বালাই। এর সঙ্গে ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির বড় যোগ আছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ জ়ডিয়ে আছে এই ফ্র্য়াঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। কাজেই আইপিএল না খেললে ভূবনেশ্বর কুমার বা জসপ্রিত বুমরারা বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ক্ষতিপূরণ
জানা গিয়েছে ঠিক এই কারণেই সিওএ-এর বৈঠকতে এই প্রসঙ্গটি তুলেছেন ভারত অধিনায়ক। তিনি চেয়েছেন আইপিএল না খেললে ভারতের সিনিয়র পেসারদের যে আর্থিক ক্ষতি হবে সেটা পূরণ করা হোক বোর্ডের তরফে।
ক্রিকেটেও ক্লাব বনাম দেশ?
এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়মনি বিসিসিআই। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এই বিরাট প্রস্থাব যদি বা বোর্ড মেনেও নেয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা মানবেন কি? ফুটবলে যেরকম ক্লাব বনাম দেশের ঠান্ডা যুদ্ধ চলে ক্রিকেটও ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগোচ্ছে। অতীতে যেরকম জাতীয় দলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকতেন ক্রিকেটাররা, এখন কিন্তু আর সেই অবস্থা নেই। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে খেলার তোয়াক্কা না করে বিশ্বব্য়পি ফ্য়াঞ্চাইজি টি২০ টুর্নামেন্ট খেলে যাচ্ছেন। ভারতীয় দলেও কি একদিন সেই দৃশ্য দেখা যাবে?