মহারাজের জন্মদিনে শুভেচ্ছার ঢল সমর্থকদের
আজ ৪৬-এ পা দিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভের হাত ধরেই নবজাগরন হয় ভারতীয় ক্রিকেটের। এদিন তাঁর জন্মদিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ভক্তকুল শুভেচ্ছা জানালেন
সময়টা ১৯৯৯, বেটিং এবং ফিক্সিংয়ে ছায়া সর্বত্র ভারতীয় ক্রিকেটের আনাচে-কানাচে। বিদেশের মাটিতে একের পর এক সিরিজে ভরাডুবির পাশাপাশি দেশের মাঠেও শুধু ব্যর্থতার স্বাদ। এই অবস্থায় টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ২৭ বছরের এক যুবক।
এতটা বলার পর আপনারা বুঝেই গিয়েছেন কথা হচ্ছে কাকে নিয়ে। একদমই ঠিক ধরেছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া আর কেই বা হতে পারে সেই যুবক, যার চোখে ছিল বিশ্ব ক্রিকেটে দেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন এবং মনে ছিল সেই স্বপ্নকে বাস্তব করার ক্ষমতা। যাঁকে বিশ্ব ক্রিকেট চেনে মহারাজ হিসেবে।
আজ সেই মহারাজই পা দিলেন ৪৬ বছরে। ভারতীয় ক্রিকেটের আধুনিক রূপকারের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁর অগুনিত ভক্ত।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জোয়াড়ে ভাসালেন তাঁর সমর্থকেরা। সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এক সমর্থক বলেন, 'মানুষ তোমার সমালোচণা করবে, সেই মানুষই তোমায় সাপোর্ট করবে। শুভ জন্মদিন দাদা।'
সৌরভের হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের উথ্যানের প্রসঙ্গ তুলে আর এক সমর্থক লেখেন, 'সচিন তেন্ডুলকরের সিনেমা থেকে দেখা গিয়েছে তিনি কী ভাবে নিজেকে মিলে ধরেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিনেমাতে দেখা যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের উথ্থান কী ভাবে হয়েছে। শুভ জন্মদিন দাদা।'
দাদার স্টেপ আউট করে ছয় মারার প্রশংসা করে এক সমর্থক লেখেন, 'দাদা তোমার মতো দারুণ ভাবে সোজাসুজি ছয় মারতে আমি আর কাউকে দেখিনি। আমাদের শৈশবকে তুমি মূল্যবান করেছ। শুভ জন্মদিন দাদা।'
সৌরভ যখন ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব নেয় তখন আইসিসি ক্রমতালিকায় ভারতের স্থান ছিল অষ্টম। তিনি ষখন নেতত্বের ব্যাটন ছাড়েন তখন ভারতের স্থান দ্বিতীয়। তিনিই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ১৯৮৩ সালের পর বিশ্বকাপ জয়ের। বিশ্বকাপ জিততে না পরলেও দলকে ফাইনালে তুলে ছিলেন সৌরভ।