উমেশ যাদবের ধামাকা বোলিং ঘরের মাঠে জয়ে ফেরাল কোহলির আরসিবি-কে
এদিন উমেশ যাদব ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটা করতেই চার মেরে উমেশ যাদবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। তখন কী জানতেন চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই তাঁকে ফিরিয়ে মধুর প্রতিশোধ তুলবেন উমেশ। শুধু ময়াঙ্কই নন, সেই ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চ ও যুবরাজ সিংকে পরপর আউট করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি।
তার আগে পাঞ্জাবের শুরুটা হয়েছিল বেশ আক্রমণাত্মকভাবে। প্রথম তিন ওভারে লোকেশ রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়ালের জুটি ৩২ রান তুলে ফেলে বিনা উইকেটে। চতুর্থ ওভারে উমেশ যাদব পরপর তিন উইকেট এক ওভারে তুলে নেন। আর তাতেই ব্যাকফুটে চলে যায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
লোকেশ রাহুল ৩০ বলে ৪৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। করুণ নায়ার ২৯ রান করেন। দলের ৯৪ রানের মাথায় রাহুল ফিরে গেলে ফের ধস নামে পাঞ্জাব ইনিংসে। সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের দল। উমেশ ম্যাচের শুরুতেই যে ধাক্কা দেন তা সামলানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
১১০ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় পাঞ্জাবের। সেখান থেকে অধিনায়ক রবিচন্দ্রণ অশ্বিন কিছুটা লড়াই করে পাঞ্জাবকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। অশ্বিন ২১ বলে ৩৩ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে স্টাম্পড হন। পাঞ্জাব ১৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তোলে।
এত সহজ টার্গেট ঘরের মাঠে তাড়া করা কঠিন ছিল না আরসিবি-র কাছে। তবুও পাঞ্জাব বোলাররাও অসাধারণ বোলিং করেন। শেষ ওভারের তিন বল বাকী থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে আরসিবি।
প্রসঙ্গত, এদিন উমেশ যাদব ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। গতবছরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এই চিন্নাস্বামীতেই খেলতে এসে উমেশ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। দল বদলালেও এবারও চিন্নাস্বামীতে বল হাতে আগুন ঝরালেন উমেশ যাদব।