বিশ্বকে আলোকিত করেছে 'ইউনিভার্স বস' ক্রিস গেইল
মাঠের ভিতরে ও বাইরে তাঁর মতো এন্টারটেইনার ক্রিকেট বিশ্বে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ব্যাট হাতে তিনি ঠিক যতটাই নৃশংস, ঠিক ততটাই শান্ত স্বভাবের ক্রিস গেইল।
মাঠের ভিতরে ও বাইরে তাঁর মতো এন্টারটেইনার ক্রিকেট বিশ্বে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ব্যাট হাতে তিনি ঠিক যতটাই নৃশংস, ঠিক ততটাই শান্ত স্বভাবে। নিজের দল তো বটেই প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল মিষ্টি-মধুর। উপকারি, বড় মনের মানুষ ক্রিস গেইল যথার্থই 'ইউনিভার্স বস'।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। বড় ইনিংস উপহার না দেওয়ায় সমালোচকদের আক্রমণের শিকার ক্রিস গেইলও। তারই মধ্যে হাই-ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে দুই দলের হয়ে গলা ফাটিয়ে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়েছিলেন গেইল। এধরণের বিবিধ কর্মকাণ্ড জামাইকান টর্নেডোর নামের পাশে আগেও বেশ কয়েকবার জুড়েছে। আর এখানেই ওই দীর্ঘদেহী ক্রিকেটার সবার থেকে আলাদা। ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যেও অধিক জনপ্রিয় এই ক্যারিবিয়ান তারকা।
যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন, তখন ক্রিকেটের রাজপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা ছিলেন মধ্য গগণে। লেজেন্ডের আড়ালেই নিজেকে ধীরে ধীরে মেলে ধরতে শুরু করেন গেইল। লারা অবসর নেওয়ার পর ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে তৈরি হওয়া শূণ্যতা একার হাতে পূরণ করার দায়িত্বও তিনি নিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের মুখ হয়ে উঠেছিলেন গেইল। টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাও তিনি আশ্চর্য রকমের স্বভাব-শান্ত।
গেইলের ক্যারিশমা এতটাই যে, চল্লিশ বছর বয়সেও তাঁকে বিশ্বকাপ দলে রাখতেও দুবার ভাবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান নির্বাচকরা। ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে ম্যাচের আগে এখনও গেইলকে নিয়ে এখনও আলাদা পরিকল্পনা করতে ভোলে না প্রতিপক্ষ দল। যেমন বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামার আগে জামাইকান টর্নেডোকে নিয়ে আলাদা ভাবে পরিকল্পনা করছে ভারতীয় দল। সেই সঙ্গে গেইলের অবসরের খবর শুনে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়েরাও। গেইল যে তাঁদের কাছেও ফেভারিট।
ওয়ান ডে, টেস্টে ও টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ১০৩৪৫, ৭২১৪ ও ১৬২৭ রানের মালিক গেইলের অবসরে বিশ্ব ক্রিকেট যে এক পরিপূর্ণ ক্রিকেটারকে হারাতে চলেছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।