বিশ্বকাপের পরই বিদায় নিচ্ছেন 'ইউনিভার্স বস' - আরও ৫ ওডিআই কিংবদন্তি নিতে পারেন তাঁর পথ
আইসিসির বিশ্বকাপ ২০১৯-এর পর ওডিআই ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন ক্রিস গেইল। এখানে আরও ৫ জন ওডিআই কিংবদন্তির কথা আলোচনা করা হল যাঁরা একই পথ নিতে পারেন।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চিরবিদায় জানাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্টইন্ডিজের ওপেনিং ব্যাটসম্যান 'ইউনিভার্স বস' ক্রিস গেইল। গত কয়েক বছরে জাতীয় দলের থেকে বিভিন্ন দেশে টি২০ লিগে খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিলেও আগেই বোর্ডকে গেইল জানিয়েছিলেন তিনি বিশ্বকাপে খেলতে চান। ৩৯ বছর বয়সেও গেইল ওপেনার হিসেবে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন।
ঋষভ পন্থ বা খলিল আহমেদের মতো প্রত্যেক দলেই তরুণ ক্রিকেটার যখন প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন, তখন গেইলের মতোই এতদিন ধরে ক্রিকেট বিশ্বকে আনন্দ দিয়ে আসা বেশ কয়েকজন একদিনের ক্রিকেটের তারকাই পড়ন্ত বেলায় আসন্ন বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন।
ফলাফল যাই হোক ৫০ ওভারের এই মেগা ইভেন্টের পর সেইসব মহাতারকাদের হয়তো আর ক্রিকেটের আঙিনায় দেখা যাবে না। নিচে সেইরকমই ৫ মহান ক্রিকেটারের কথা আলোচনা করা হল।
রস টেলর
কিউই ব্যাটিং-এর মিডল অর্ডারের প্রধান ভরসা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে সেভাবে রান না পেলেও তার আগের সিরিজগুলিকে ভাল ফর্মে ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে তাঁর উপর কিউইদের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে। ৩৫ বছর বয়সে এসে এটাই তাঁর দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ।
লাসিথ মালিঙ্গা
সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই বোলার মাঝে চোটের জন্য দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলেন। এশিয়া কাপে ফিরে আসেন দলে। তারপর থেকে ভালই কেলেছেন। শেষ একটা বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। কিন্তু চোট আঘাতে জর্জরিত মালিঙ্গা বিশ্বকাপের পর তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন আর দীর্ঘায়িত নাও করতে পারেন।
হাশিম আমলা
চুপিসারে বড় রানের ইনিংস খেলার জন্য প্রসিদ্ধ আমলা। বেশ দেরী করেই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে এখন তিনি প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ শতরানের মালিক। ৩৬ বছরের আমলা নিঃসন্দেহে এখনও তাদের ব্য়াটিং লাইনআপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু বিশ্বকাপের পর খুব বেশিদিন তিনি সাদা বলের ক্রিকেট খেলবেন বলে মনে হয় না।
শোয়েব মালিক
অভিষেকের পর থেকে এখনও ৫০ ওভারের ক্রিকেটের দলে তাঁর জায়গা নেওয়ার মতো ক্রিকেটার পাকিস্তানে আসেনি। এই বিশ্বকাপেও তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতার সঙ্গে বিশাল অভিজ্ঞতার ভান্ডার পাক দলের প্রয়োজন। তবে তিনিও এই বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট ব্য়াট তুলে রাখতে পারেন। এই বছর ৩৭-এ পড়বেন তিনি। তাঁর বিদায়ে পাক দলে অবশ্যই বড় শূন্যতা তৈরি হবে, তবে এটাই নতুনদের জায়া ছেড়ে দেওয়ার আদর্শ সময়।
এমএস ধোনি
নিজে হাতে ব্য়াটন তুলে দেওয়ার জন্য ঋষভ পন্থকে তৈরি করছেন ধোনি। এই বিশ্বকাপেও তাঁকে ছাড়া ভারতীয় দল ভাবাই যায় না। কিন্তু তারপর সম্ভবত পন্থ তৈরি বুঝলেই সরে যাবেন একদিনের ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। এখনও উইকেটের পিছনে প্রথম দিনের মতো ক্ষিপ্র। ক্ষিপ্র উপস্থিত বুদ্ধিতেও। ব্য়াটে হেলিকপ্টার শটের দাপট না থাকলেও আছে নির্ভরতা। কিন্তু তাও সবাইকেই সরতে হয়। আর এটা ধোনির থেকে ভাল কেউ যানেন না।