জানতেন কী? এর আগেও কোহলি এবং কেন উইলিয়ামসন ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপের নক-আউট নেতৃত্ব দিয়েছেন
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯-এর লিগ পর্যায়ের শেষ দিনটি ভারতের পক্ষেই গেল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯-এর লিগ পর্যায়ের শেষ দিনটি ভারতের পক্ষেই গেল। একদিকে তারা লিডসে তাদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে চূর্ণ করল। অপরদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০ রানে হেরে ১৪ পয়েন্টেই শেষ করে অস্ট্রেলিয়া পয়েন্টস টেবিলে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ করল। শীর্ষ স্থানাধিকারী দল হিসেবে ভারত এবারে সেমি-ফাইনালে খেলবে চতুর্থ দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে, আগামী ৯ জুলাই। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া খেলবে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ডের সঙ্গে, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, এজবাস্টনে।
এবার নিয়ে ভারত সপ্তমবার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলবে। অন্যদিকে, কিউইরা খেলবে অষ্টমবার। কিন্তু একে ওপরের বিরুদ্ধে ভারত ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলবে প্রথমবার। ভারত এখনও পর্যন্ত তাদের ছয়টি সেমি-ফাইনালে জিতেছে তিনবার, হেরেছে তিনবার। যে তিনবার জিতেছে, তার মধ্যে বিশ্বকাপ তাদের ঝুলিতে এসেছে দু'বার।
নিউজিউল্যান্ডের সেমি-ফাইনালে জয়ের রেকর্ড সেদিক থেকে অনেকটাই ম্লান। সাত সাতবার সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেও তারা জিতেছে মাত্র একটিতে, ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এবং সেবারে সেমি-ফাইনালে জিতলেও তারা ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়।
এবারে আসা যাক ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কদের কথায়। বিরাট কোহলি এবং কেন উইলিয়ামসন যথাক্রমে তাঁদের নিজেদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান যদিও কোহলিকে এবারে ছাপিয়ে গিয়েছেন তাঁরই সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যিনি এখনও পর্যন্ত সাতটি ম্যাচে পাঁচটি শতরান হাঁকিয়েছেন। উইলিয়ামসনও এই বিশ্বকাপে দু'টি সেঞ্চুরি করেছেন এখনও পর্যন্ত এবং তাঁর দলের সেরা ব্যাটসম্যান তাঁকেই দেখিয়েছে।
এই দুই খেলোয়াড় এই প্রথম বিশ্বকাপের নক-আউটে তাঁদের নিজেদের দেশকে একে অপরের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তো তাঁরা অধিনায়ক ছিলেন না। তাহলে?
১১ বছর আগের একটি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালেও কোহলি এবং কেন ছিলেন তাঁদের দলের নেতৃত্বে
রেকর্ড বই ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে ২০০৮ সালের অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালেও মুখোমুখি হয় ভারত এবং নিউজিল্যান্ড এবং সেই ম্যাচটিতেও অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন কোহলি এবং উইলিয়ামসন। সেই ম্যাচে রবীন্দ্র জাদেজা, ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদি -- যাঁরা এই বিশ্বকাপেও খেলছেন -- ছিলেন।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত সেই ম্যাচটিতে উইলিয়ামসন টসে জিতে ব্যাটিং নেন এবং নিউজিল্যান্ড প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ৫০ ওভারে টো৫ রান করে, আট উইকেটের বিনময়ে। উইলিয়ামসন ৩৭ রান করেন ৮০ বল খেলে এবং আউট হন কোহলির মিডিয়াম পেসেই। কোহলি সাত ওভারে ২৭ রান দিয়ে দু'টি উইকেট পান সেই খেলায়। কোরি এন্ডারসন ছয় নম্বরে নেমে ৬৭ বলে ৭০ রান করেন।
কোহলির অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স তাঁকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার এনে দেয়
এরপর ভারত ব্যাট করতে নামলে বৃষ্টিতে ম্যাচ বিঘ্নিত হলে কোহলির দলের লক্ষ দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ১৯১ রান। উইকেট-রক্ষক ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী ৫১ রান এবং কোহলি ৪৩ রান করে ভারতকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিলেও পরের দিকে অনেকগুলি উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত সৌরভ তিওয়ারির ৪১ বলে অপরাজিত ২৯ ভারতকে তিন উইকেটে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে, বিয়াল্লিশতম ওভারে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন কোহলি।
এবারেও কি কোহলি সেই একই নেতৃত্ব দেখাতে পারবেন?