কোহলির ‘ডাবল ধামাকা’, সচিন-সেওয়াগকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভারত অধিনায়ক
প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সকালেই ‘দুর্বল’ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাগপুর টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৫১ তম শতরানের মালিক হওয়ার দিনেই তিনি শতরানকে দ্বি-শতরানে পরিণত করলেন
সচিন-সেওয়াগ থেকে আর মাত্র এক ধাপ নিচে বিরাট কোহলি। সে়ঞ্চুরিকে ডাবলে পরিণত করা প্রায় স্বভাবে পরিণত করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। তার অন্যথা হল না শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাগপুর টেস্টেও। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি পঞ্চম ডবল সেঞ্চুরি করে ফেললেন। সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ উভয়েই ছ-টি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
[আরও পড়ুন:কোহলির 'বিরাট' ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে চালকের আসনে ভারত]
প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সকালেই 'দুর্বল' শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাগপুর টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৫১ তম শতরানের মালিক হওয়ার দিনেই তিনি শতরানকে দ্বি-শতরানে পরিণত করলেন। তাঁর ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করেই ভারত পৌঁছে গেল চালকের আসনে। এদিন সকালের সেশনেই আউট হয়ে যান গতদিনের শতরানকারী ব্যাটসম্যান পূজারা। তারপর বিরাটকে সঙ্গ দিতে নামেন রোহিত শর্মা। রোহিতও সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন জোর কদমে।
ইডেন টেস্টে সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। তারপর নাগপুরে টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি করে বিজয়রথ এগিয়ে নিয়ে চললেন তিনি। প্রথম টেস্টে একটুর জন্য জয় পায়নি ভারত। এবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেঞ্চুরি আরও মধুর করে রাখতে চান তিনি। এর আগে ওপেনার মুরলি বিজয় ও চেতেশ্বর পূজারাও সেঞ্চুরি করেছিলেন। এক ইনিংসেই ভারতের প্রথম চার ব্যটসম্যানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করলেন।
শনিবার দিনের শেষে ৫৪ রানে ব্যাট করছিলেন কোহলি। সঙ্গী পূজারা ১২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন কোহলি। লাঞ্চের আগেই তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান। বিরাট এই নিয়ে টেস্টে ১৯ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩২টি সেঞ্চুরি করেন।
বিরাটের বয়স এখন মাত্র ২৯। তিনি আরও ছ-সাত বছর হেসে-খেলে খেলবেন। ২০১২ সালে টেস্টের আসরে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। তারপর ছ-বছরে তিনি এই কীর্তি স্থাপন করেছেন। এখন ছ-সাত বছর খেললে তাঁর সামনে সমূহ সম্ভাবনা সচিনকে টপকে যাওয়ার। ডাবল সেঞ্চুরিতেও তিনি টপকে যাবেন সেওয়াগ ও সচিনকে। এমনকী ব্র্যাডম্যানকেও টপকে যেতে পারেন তিনি।
এদিন অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরিতেও এক অনন্য কৃতিত্ব দেখান বিরাট কোহলি। বিশ্বের মধ্যে এক ক্রিকেট-বর্ষে তিনিই অধিনায়ক হিসেবে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হলেন। রিকি পন্টিং ১১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিরাট নাগপুর টেস্টে সেঞ্চুরি করে টপকে গেলেন রিকিকেও। যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছেন বিরাট, তা অদূর ভবিষ্যতে অনেক কীর্তিকেই ছাপিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।