বিশ্বকাপে সচিন, সৌরভের পরেই এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়ার সুযোগ বিরাটের
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জোড়া রেকর্ডের সামনে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে বিশ্বকাপে স্মিভ স্মিথের টানা পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন বিরাট।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জোড়া রেকর্ডের সামনে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে বিশ্বকাপে স্টিভ স্মিথের টানা পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন বিরাট। সেই সঙ্গে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে ৫টি অর্ধশতরান করার কীর্তি গড়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে টানা পাঁচ ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি রান করেছিলেন স্মিথ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিন আরও একটি অর্ধশতরান করলে স্মিথকে টপকাবেন বিরাট।
কোহলি সামনে এদিন কী কী রেকর্ডের হাতছানি-
১) স্মিথের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে টানা সবচেয়ে বেশি ছটি অর্ধশতরানের মালিক হওয়ার দোরগোড়ায় বিরাট।
২)এদিন আরও একটি অর্ধশতরান মানে, বিশ্বকাপ তথা ওয়ান ডে ক্রিকেটে টানা ছটি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলবেন ভিকে। বিশ্বের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এই কীর্ত গড়ে ফেললেন। এই নজিরে শীর্ষস্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের জাভেজ মিয়াঁদাদ। ১৯৮৭ সালে ওয়ান ডে ক্রিকেটে টানা নয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি রয়েছে মিয়াঁদাদের।
সেই তালিকায় মিয়াঁদাদের পরেই জায়গা করে নেবেন ভিকে। টানা ৬ ইনিংসে অর্ধশতরান করে এই মুহূর্তে যৌথভাবে দু নম্বরে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, ক্রিস গেইলরা। সেই তালিকায় এবার নাম তুলে ফেলতে পারেন বিরাট।
তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে ১০০০ রান হাঁকানের সুযোগ-
ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে ১০০০ বা তার বেশি রান হাঁকানের কীর্তি রয়েছে সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিশ্বকাপে এদিন আর মাত্র ৩১ রান হাঁকাতে পারলেই সচিন -সৌরভের পর তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান হাঁকানোর নজির গড়বেন বিরাট কোহলি।
বিশ্বকাপে বিরাটের রান-
বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকর- ৪৫ ম্যাচে ৪৪ ইনিংস খেলে সচিন তেন্ডুলকর ২২৭৮রান করেছিলেন, রয়েছে ৬টি একশো ও ১৫টি অর্ধশতরান।
বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় - ২১ ম্যাচে ২১ ইনিংস খেলে ১০০৬ রান করেছেন, চারটি সেঞ্চুরি ও ৩টি অর্ধশতরান রয়েছে।
বিশ্বকাপে
বিরাট-
২৩
ইনিংস
খেলে
৯৬৯
রান,
২টি
শতরান
ও
৬টি
অর্ধশতরান
রয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপে বিরাটের ব্যাটে রান-
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮২ রান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৭ রান, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৭, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে৭২, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৬ রান।