কুম্বলেকে তাড়াতে কোহলি যতটা নীচে নামলেন তার কি দরকার ছিল!
কোহলি শেষদিকে বোর্ডকে কুম্বলের বদলে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। না হলে তিনি পদত্যাগ করতেন।
অনিল কুম্বলের কোচ পদে ইস্তফা দেওয়ার পরও যেন ঘটনাপ্রবাহ কিছুতেই থামছে না। নিত্যদিন একেরপর এক তথ্য উঠে আসছে কুম্বলে-কোহলি সংঘাত নিয়ে। শোনা গিয়েছে, কুম্বলের সঙ্গে সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল যে তিনি কোচ পদে থেকে গেলে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াতেন বিরাট কোহলি।
গত কয়েকদিন ধরেই কুম্বলে-কোহলি দ্বৈরথ বিশ্ব ক্রিকেটের সমস্ত লাইমলাইট শুষে নিয়েছে। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ওঠা বা পাকিস্তানের কাছে হারার চেয়েও বেশি কথা হচ্ছে কুম্বলে-কোহলি কাজিয়া নিয়ে।
টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোহলি শেষদিকে বোর্ডকে কুম্বলের বদলে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রিকেট প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই ছাড়াও বোর্ডের শীর্ষকর্তারা ও ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির তিন মাথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ নাকি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন।
ফলে বোর্ডের তরফে কুম্বলেকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে কোহলি অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াতেন। এমন রিপোর্টই সামনে এসেছে। কারণ কোহলি আর কোনওভাবেই কুম্বলের সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন না।
এর আগে শোনা গিয়েছে কোহলি ও কুম্বলে গত ডিসেম্বরের পর থেকে একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি। মনোমালিন্য এমন জায়গায় পৌঁছয় যে দুজনে প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আর তারপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে হারার পরে ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের আধ ঘণ্টা আটকে রেখে পাকিস্তানের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের জন্য কার্যত তিরস্কার করেন কুম্বলে। তাতেই নাকি কোহলির পাশাপাশি দলের অনেক ক্রিকেটারের বিরাগভাজন হতে হয়। ব্যস, এরপরে আর কুম্বলের সরে যাওয়া ছাড়া গতি ছিল না।