সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ২২ গজের কথোপকথন প্রকাশ্যে আনলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ২২ গজের কথোপকথন প্রকাশ্যে আনলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মিডিল অর্ডার ব্য়াটসম্যান হিসেবে। টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে শুরুটা সেভাবেই হয়েছিল বীরেন্দ্র শেহবাগের। কিন্তু ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন তাঁকে ইনিংস ওপেন করার প্রস্তাব দিলেন, তা লুফে নেন বীরু। বাকিটা ইতিহাস।
বহু ম্যাচে মহারাজের সঙ্গে ব্যাট হাতে ভারতের ইনিংস শুরু করেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। তাঁদের জুটিকে ভয় পেতেন না, তখন বিশ্বে এমন কোনও বোলার ছিলেন না। শক্ত গ্রিপে ২২ গজ শাসনের ফাঁকেই অধিনায়কের সঙ্গে খুনসুটি করার কোনও সুযোগই ছাড়তেন না বীরু। ভুল করলে কিন্তু দাদার কাছে বকাও খেতেন নজফগড়ের নবাব। আর পিচের অন্য দিকে দাঁড়িয়ে থাকা অধিনায়কের কথা শুনলে কী পরিণতি হত, তার এক একটি উদাহরণও দিয়েছেন শেহবাগ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীর সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ওই সিরিজেই বীরেন্দ্র শেহবাগকে প্রথম টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ওপেন করতে দেখা যায়। সিরিজের প্রথম তিনটি ম্য়াচে যথাক্রমে ৩৩, ২৭ ও শূণ্য করে আউট হয়েছিলেন বীরু। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচ ছিল শেহবাগের কাছে অগ্নিপরীক্ষার। সেই ম্যাচেই জ্বলে উঠেছিলেন নজফগড়ের নবাব। খেলেছিলেন দুর্দান্ত ইনিংস।
সেই অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিউই-দের দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমেছিলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ড্যারেল টাফির ১১তম ওভারে চারটি চার মেরেছিলেন বীরু। সেই সময় অধিনায়ক সৌরভের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের স্মৃতি স্মরণ করেছেন শেহবাগ।
শেহবাগ জানিয়েছেন, প্রথম চার মারার পর মহারাজ তাঁর কাছে এসে বলেন যে ওভারে পাঁচ রান করে এলেই যথেষ্ট। মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন বীরু। যদিও দ্বিতীয় বলে ফের চার মারেন তিনি। ফের তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন সৌরভ। বলেন যে আগামী দুই ওভারের রান উঠে গেছে। আর ব্যাট চালানোর দরকার নেই। কিন্তু তৃতীয় বলে আবার বাউন্ডারি হাঁকাতেই তাঁর অধিনায়ক ক্ষেপে যান বলে জানিয়েছেন শেহবাগ। বীরুর কথায়, সৌরভ বলেন যে আগামী তিন ওভারের রান উঠে গেছে। আর ঝুঁকি নেওয়ার কী মানে। এরপরেও তিনি ওভারের চতুর্থ বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বীরু।
বিরক্ত মহারাজ নাকি তখন শেহবাগকে গিয়ে প্রশ্ন করেন, 'তুই কী আমার কথা শুনবি না বলে ঠিক করেছিস!' তখন শেহবাগ উত্তর দেন, 'শুনব, তবে ফুলটস বল ছাড়তে পারবো না।'