শচিনের পরামর্শেই ধোনির বিশ্বকাপ জয়! কীভাবে, ফাঁস করলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ
বীরেন্দ্র সেওয়াগ জানিয়েছেন, শচীন তেন্দুলকারই ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট কোহলির আউট হওয়ার পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আগে ব্যাট করতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ১০৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জিতিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। সবাই তাঁর সামনে থেকে অধিনায়কত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। কিন্তু বীরেন্দ্র সেওয়াগ দাবি করলেন শচিনের একটি পরামর্শই ফাইনালে বড় ফারাক গড়ে দিয়েছিল।
ভারতের ব্যাটিং-এর শুরুতে কিন্তু ম্যাচের দখল ছিল শ্রীলঙ্কার হাতেই। কিন্তু ভারতের ব্যাটিংয়ে একটি ট্যাকটিকাল পরিবর্তনই ম্যাচের গতি পাল্টে দিয়েছিল। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর যুবরাজ সিংয়ের বদলে ক্রিজে এসেছিলেন অধিনায়ক ধোনি। আর বাকিটা ইতিহাস। পরিবর্তনটা কিন্তু ক্যাপ্টেন কুলয়ের মস্তিষ্ক প্রসূত নয়। বীরেন্দ্র সেওয়াগ এতদিন পর এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে ফাঁস করলেন সেই পরিবর্তনের পরামর্শটা ধোনিকে দিয়েছিলেন তাঁর ওপেনিং পার্টনারই।
সেওয়াগ জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিশেষ করে তাঁদের কিংবদন্তি অফস্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরণ যাতে নির্দিষ্ট লাইন খুঁজে না পান, তার জন্যই শচিন পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্রিজে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটসম্য়ানের সমন্বয়টা ধরে রাখার। সেইসময়ে ক্রিজে গম্ভীরের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। শচিন ধোনিকে বলেছিলেন, যদি বাঁহাতি গম্ভীর আউট হন তাহলে যুবরাজকেই নামাতে, আর যদি ডানহাতি কোহলি আউট হন তাহলে নিজে যেতে।
সেই মতোই কোহলি আউট হতে যুবরাজের পরিবর্তে ক্রিজে যান ধোনি। গম্ভীরের ৯৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি ধোনি ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। নুয়ান কুলাশেখরার বলে ছয় মেরে তিনি জয়ের রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন ভারতকে।