বিসিসিআইয়ের অবাধ্যতায় অন্ধকারে দেশের অন্য খেলার ভবিষ্যৎ
ডোপ টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাজি না হলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে শাঁসানি দিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা।
বিশ্বের তাবড় অ্যাথলিটরা যে ড্রাগ টেস্টিং পদ্ধতি মেনে চলেন তা বারবার বলার পরও ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য বিসিসিআই বলবৎ করতে দিচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ডোপ টেস্ট না করেই খেলে চলেছেন। ডোপ টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাজি না হলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে শাঁসানি দিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা।
ওয়াডা সরাসরি আইসিসির কাছে নালিশ জানিয়েছে। বলেছে, বিসিসিআইকে নির্দেশ দিতে যাতে অবিলম্বে ওয়াডার দাবি মেনে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ড্রাগ টেস্ট করানো হয়।
যদি এই পরামর্শ না মানা হয় তাহলে ভারতের অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা-র স্বীকৃতি বাতিল করে দেওয়া হবে। একই জিনিস জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে ওয়াডার তরফ থেকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে যদি ডোপ টেস্টে নাডা রাজি করাতে না পারে তাহলে তার স্বীকৃতি তো বাতিল হবেই পাশাপাশি অন্য খেলাগুলিতেও বিশ্বের মঞ্চে ভারতীয় খেলোয়াড়দের যোগদানের বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।
ওয়াডার তরফে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। অবিলম্বে নাডা-কে দিয়ে যাতে বিসিসিআইকে রাজি করিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ টেস্ট করানো হয় সেই আবেদন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আইসিসি এই বিষয়ে কতটা তদ্বির করছে সেটাও নজরে রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিসিসিআইয়ের অধীনে থাকা ১৫৩ জন ক্রিকেটারের ডোপ পরীক্ষা হয়েছিল ওয়াডায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে একজন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর নাম অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, আইপিএল বা ইরানি ট্রফি চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে পরীক্ষা করে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের বিষয়টি জানা গিয়েছে। তারপরই ওয়াডা বিসিসিআই নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে।