ধোনির পরামর্শেই উন্নতি, টেস্ট দলে ডাক পেলেন মহম্মদ সিরাজ, জানেন কে এই তরুণ ক্রিকেটার
প্রথমবার ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পাওয়া মহম্মদ সিরাজের প্রোফাইল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের জন্য ডাক পেয়েছেন হায়দরাবাদের জোরে বোলার মহম্মদ সিরাজ। সম্প্রতি ভারতীয় এ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জোরেই তিনি ডাক পেয়েছেন টেস্ট দলে। স্কোয়াডে ভূবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রীত বুমরা নেই। এই অবস্থায় ভারতীয় টেস্ট দলের প্রথম এগারোয় তাঁকে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২৪ বছরের সিরাজ বলছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির এক পরামর্শেই নাকি তিনি আগের থেকে অনেক ভাল বোলার হয়ে উঠেছেন। আর তাতেই তাঁর সাম্প্রতিক সাফল্য এসেছে। তাঁর টেস্ট অভিষেকের আগে দেখে নেওয়া যাক কে এই মহম্মদ সিরাজ?
রাজ কাপুর-নার্গিস
আগ, বরসাত, আওয়ারা, শ্রী ৪২০, চোরি চোরি, জাগতে রহো, এমন একাধিক সিনেমায় নার্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রাজ কাপুর ও নার্গিস। অনস্ক্রিন রসায়নটা আস্তে আস্তে তাঁদের জীবনেও ঢুকে পড়ে। কিন্তু তখন কৃষ্ণাদেবীর সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কে ছিলেন রাজ কাপুর।
ঘরোয়া ক্রিকেটে
হায়দরাবাদের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ২০১৫-১৬ মরসুমে অভিষেক হয় তাঁর। তার পরের মরসুমেই (২০১৬-১৭) তিনি রঞ্জিতে হায়দরাবাদের হয়ে ১৮.৯২ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হয়েছিলেন। ২০১৮-র বিজয় হাজারে ট্রফিতেও তিনি সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন। ৭ ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন ২৩টি উইকেট! সবমিলিয়ে ২০টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচে তিনি ৯৭টি উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ৪বার। ম্যাচে ১০ উইকেট ২বার। সেরা বোলিং ৫৯-৮। সম্প্রতি ভারতীয় এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৫৯ রানে ৮ উইকেট নেন সিরাজ।
দীলিপ কুমার-মধুবালা
১৯৫১ সালে তারানা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় দীলিপ কুমার ও মধুবালার মধ্যে ভালবাসার স্ফুলিঙ্গ জ্বলতে শুরু করে। শোনা যায় মধুবালা নিজের হেয়াকড্রেসারের হাতে দিলীপ সাহেবের জন্য একটি উর্দুতে লেখা চিঠি ও গোলাপ ফুল পাঠান। যাতে লেখা ছিল, যদি তিনি তাঁকে ভালবাসেন তাহলে যেন গোলাপ ফুলটি গ্রহণ করেন।
দীলিপ কুমার সেই গোলপটি গ্রহণ করেন কারণ ততদিনে তিনি মধুবালার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। মুঘল-এ-আজম এর সময়ও এই প্রেম পুরোদমে চলছিল। এই প্রেমে বাঁধ সাধেন মধুবালার বাবা আতাউল্লাহ খান। নয়া দৌড়ের শুটিংয়ের জন্য মেয়েকে ভোপাল যেতে দেননি তিনি। আর তাতে বেজায় চটেন পরিচালক বি আর চোপড়া।তিনি মধুবালাকে ওই সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে সেই জায়গায় বৈজন্তী মালাকে নেন। বাবার অমতে যেতে পারেননি মধুবালা। ফলে সেখানেই ইতি হয় তাঁদের সম্পর্কের।
আইপিএল-এ
২০১৭ সালের আইপিএল-এ তাঁকে ২.৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাতে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ৬ ম্যাচে তিনি ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন। গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। তার পরের বছর তাঁকে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।
গুরু দত্ত-ওয়াহিদা রহমান
গুরু দত্ত ও ওয়াহিদা রহমানের প্রেম গোপনে শুরু হলেও এ কাহিনী বলিউডে কারও অজানা নয়। পেয়াসা ছবিতে কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৫৯ সালের ছবি কাগজ কে ফুল যেখানে এক চিত্র পরিচালকের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকার সম্পর্ক নিয়ে আসলে গুরু দত্ত ও ওয়াহিদার গল্পের প্রতিচ্ছবি বলেই মনে করা হতো।
কিন্তু এরপর কী হয়েছিল কেউ জানেন না, গুরু দত্তের আত্মহত্যার মধ্যে দিয়েই করুণ পরিণতি এই ভালবাসার। গুরু দত্তের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী গীতা দত্ত-ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ১০ বছর পর তাঁরও মৃত্যু হয়।
ওয়াহিদা অভিনেতা-ব্যবসায়ী কমলজিৎকে বিয়ে করেন। তাঁদের ২ সন্তানও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ
ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত একমাত্র টি২০ ফর্ম্যাটেই খেলেছেন সিরাজ। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অভিষেক হয়। তিনি সেই ম্যআচে তুলে নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের মূল্যবান উইকেট। ভারতের হয়ে আরও দুটি টি২০ খেলেছেন তিনি। একটি শ্রীলঙ্কা, অপরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
ধর্মেন্দ্র-মীনা কুমারী
পূর্ণিমা, চন্দন কা পালনা, ফুল অউর পত্থরের মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভাললাগা ও পরে ভালবাসা। তখন অবশ্য ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কে ছিলেন। এই খবর প্রকাশ্যে চলে আসতেই পিছিয়ে যান ধর্মেন্দ্র। সম্পর্কের ইতি হয়। মীনা কুমারীও হতাশায় ডুবে যান। এবং অবশেষে আত্মহত্যা করেন। পরে অবশ্য ধর্মেন্দ্র হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন।
ধোনির পরামর্শেই উন্নতি
মহম্মদ সিরাজ টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর জানিয়েছেন, ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি২০ খেলার সময়ই তাঁকে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতেই অনেক উন্নতি ঘটেছে তাঁর বোলিং-এ। সিরাজ বলেছেন ধোনি তাঁকে বলেন ব্যাটসম্যানের ফুটওয়ার্কের উপর নজর রাখতে। ফুটওয়ার্ক দেখে তবেই বলের লাইন লেন্থ পরিবর্তন করতে। ধোনির সেই পরামর্শ তারপর থেকে সব খেলাতেই তিনি কাজে লাগিয়েছেন।
অমিতাভ-রেখা
বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কাহিনী হয়তো অমিতাভ বচ্চন ও রেখারই। ১৯৭৬ সালে দো আনজানে ছবি করার সময় থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তখন জয়া ভাদুরি অমিতাভের স্ত্রী।
শোনা যায়, আলাপ ছবির শুটিংয়ের সময়, রেখার বান্ধবীর একটি বাংলোয় দুজনে নিয়মিত দেখা করতেন। খুন পসিনা, ইমান ধরম, গঙ্গা কি সউগন্ধ, মুকাদ্দর কা সিকন্দর, মিস্টার নটওরলাল, সুহাগ ছবি করার সময় এই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়ে ওঠে।এই কথা জয়ার কানে আসতেই তিনি রেখার সঙ্গে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলেন, এবং তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনও মতেই তিনি স্বামী অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্কও ভাঙবেন না ও তাঁকে ছাড়বেন না।এরপর সিলসিলা ছবি তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যে ছবিতে চিত্রনাট্যেও রেখা, অমিতাভ এবং জয়ার ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ফুটে ওঠে। এই ছবির পরই দুজনের সম্পর্কে দাড়ি পরে যায়।
চাপ কাটিয়েছিলেন কোহলি
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হওয়ার আগের দিন অধিনায়ক কোহলি শুধু তাঁকে বলেছিলেন, 'টেনশন করিস না। মাঠে কথা হবে। শুধু তৈরি থাক কাল খেলার জন্য'। কিন্তু মাঠে নেমে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছিলেন সিরাজ। তখনও এগিয়ে আসেন কোহলি তাঁকে জানিছিলেন, সিরাজের খেলা তিনি দেখেছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার রাস্তায় না গিয়ে, তিনি যেভাবে বল করেন সেভাবেই বল করতে বলেছিলেন। আর অধিনায়কের সেই আস্থা প্রদর্শনেই কেটে গিয়েছিল যাবতীয় চাপ
সঞ্জয় খান-জিনত আমন
১৯৮০ সালে আবদুল্লা ছবির সময়ই জিনাতের প্রেমে পড়ে যান বিবাহিত অভিনেতা সঞ্জয় খান। দুজনে একসঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু দুজনের সম্পর্কের করুন পরিণতি হয় যখন একটি অনুষ্ঠানে স্ত্রী জরিনের আদেশে জিনাতকে নৃশংসভাবে মারধর করেন সঞ্জয়। ওই মারের চোটে জিনাতের একটি চোখ চিরকালের মতো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ক্রিকেটার মজহার খানকে বিয়ে করেন জিনাত। সঞ্জয় খান ও জরিন এখনও একসঙ্গেই আছেন।
অটোচালক বাবা
আজ ভারতীয় দলে ডাক পাওয়া পেসারটির বাবা মহম্মদ ঘাউসি পেশায় একজন অটোচালক। সিরাজ যাতে ক্রিকেটার হতে পারেন তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সিরাজ জানিয়েছেন অত্যন্ত কঠিন সময় দেখতে হলেও তিনি যখন যেটা চেয়েছেন তখনই বাবা তা জোগার করে দিয়েছেন। তাই বাবাকে গর্বিত করাই তাঁর স্বপ্ন ছিল। টেস্ট দলের সাদা জার্সি পাওয়ার পর সেই স্বপ্ন অনেকটাই সফল হয়েছে। এখন অবশ্য সিরাজ আর তাঁর বাবাকে অটো চালাতে দেন না।
শত্রুঘ্ণ সিনহা-রীনা রায়
বিউটি কুইন পুনম চন্দ্রনামণি এবং অভিনেত্রী রীনা রায়ের সঙ্গে একইসঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালাচ্ছিলেন শটগান শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু শেষমেষ পুনমকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন শত্রুঘ্ন। ১৯৮০ সালে দুজনের বিয়ে হয়। পরে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মহসিন খানকে বিয়ে করেন রীনা।
রাজেশ খান্না-টিনা মুনিম
রাজেশ খান্না ও তাঁর তৎকালীন স্ত্রী ডিম্পল কাপাডিয়ার বিচ্ছেদের পরই টিনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলিউডের কাকাজি। এমনকী রাজেশের বাড়িতেও থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু টিনাকে রাজেশ বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল টুইঙ্কল ও রিঙ্কি এই বিয়ে মেনে নিতে পারবে না। আর তাই টিনা এই সম্পর্কে ইতি টানেন।
মহেশ ভট-পারভিন ববি
একাধিক সম্পর্ক ছিল পারভিন ববির। কবির বেদীর সম্পর্কে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর মহেশ ভটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। পারভিন ববির সঙ্গে তাঁর নিজের সম্পর্ক নিয়ে অর্থ ছবিটি তৈরি করেন মহেশ ভট। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
আদিত্য পাঞ্চোলি-কঙ্গনা রানাউত
স্ত্রী জরিনা ওয়াব থাকা সত্ত্বেও বয়সে অনেক ছোট কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আদিত্য। কিন্তু সম্পর্কে থাকাকালীনই কঙ্গনাকে মারধর করার জন্য সংবাদের শিরানে উঠে এসেছিলেন আদিত্য। বিয়ের বাইরেও একাধিক সম্পর্ক রয়েছে স্বীকার করেন আদিত্য। এর পরেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কঙ্গনা।
মিঠুন-শ্রীদেবী
জাগ উঠা ইনসার ছবির শুটিংয়ের দরুণ মিঠুন চক্রবর্তী ও শ্রীদেবীর প্রেম পর্ব শুরু হয়। তখন মিঠুনের স্ত্রী ছিলেন যোগিতা বালি। এমনও শোনা যায় গোপনে বিয়েও করেছিলেন মিঠুন ও শ্রীদেবী। এই খবর জানার পর যোগিতা বালি আত্মহত্যা করতে গেলে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন মিঠুন ও শ্রীদেবী।
পরে বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শ্রীদেবীকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে আশ্রয় দেন। তিনি জানতেন না তাঁর পিঠের পিছনেই শ্রীদেবী ও তাঁর স্বামীর মধ্যে অন্য সম্পর্ক গড়ে উঠছে। গর্ভবতী হয়ে পড়েন শ্রীদেব। এরপরই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মোনা ও বনি।
সঞ্জয় দত্ত মাধুরী
সঞ্জয় দত্তের প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার মৃত্যুর পরই মাধুরীর সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের সম্পর্ক তৈরি হয়। থানেদার, সাজন, খলনায়ক-এ মতো একের পর এক ছবি একসঙ্গে করতে থাকেন দুজনে। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে সঞ্জয় ধরা পরার পর মাধুরী সম্পর্ক শেষ করে দেন সঞ্জয়ের সঙ্গে।
এরপর ১৯৯৯ সালে ডাঃ নেনেকে বিয়ে করেন মাধুরী। সঞ্জয় অবশ্য মাধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর দুবার বিয়ে করেছেন। রিহা পিল্লাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমান স্ত্রী মান্যতাকে নিয়ে আছেন তিনি।হৃতিক-করিনা
বিয়ে না হলেও সুজানকে ডেট করার সময়ই করিনার প্রেমে পড়েন হৃতিক। যদিও পরে সুজানকেই বিয়ে করেন তিনি। এবং করিনা শাহিদকে ডেট করতে শুরু করেন। পরে অবশ্য সইফ আলি খানকে বিয়ে করে সুখে জীবনযাপন করছেন করিনা। সম্প্রতি হৃতিকের সঙ্গে সুজানের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।