করোনা ভাইরাসের জেরে আইপিএল একান্তই না হলে কী কী সমস্যায় পড়তে পারে বিসিসিআই
করোনা ভাইরাসের জেরে আইপিএল একান্তই না হলে কী প্রকারের ক্ষতি হতে পারে
করোনা ভাইরাসের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। পরিস্থিতি এমন যে পিছিয়েও টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছে বিসিসিআই। মারণ ভাইরাসের প্রভাবে আইপিএল একান্তই না হলে, কত টাকার ক্ষতি হবে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
স্থগিত আইপিএল
২৯ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০-র আইপিএল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনার জেরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তাতেই বিসিসিআই আটকে রয়েছে বলে মনে করছে ক্রীড়া মহল।
এই পরিস্থিতিতে কী কী হতে পারে
১) করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে আইপিএল।
২) আইপিএল শুরু হলেও, ম্যাচগুলি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হতে পারে।
৩) আইপিএল চালু করার জন্য টুর্নামেন্টের সূচি কেটে অর্ধেক করতে পারে বিসিসিআই। ৬০-র পরিবর্তে ৩০ বা ৩২-এ দাঁড়াতে পারে আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা।
৪) করোনার আতঙ্কে আইপিএল দ্রুত শেষ করার জন্য টুর্নামেন্টে ডবল হেডার বা একই দিনে দুটি ম্যাচের সংখ্যা বাড়তে পারে। ট্রিপল হেডার বা একই দিনে তিনটি ম্যাচ আয়োজন করার কথাও ভাবছে বিসিসিআই।
৫) ২০০৯-র মতো ভারতের পরিবর্তে অন্য কোনও দেশে বসতে পারে আইপিএলের আসর।
ম্যাচের সংখ্যা কমে গেলে কত ক্ষতি
আইপিএলে ম্যাচ সংখ্যা কমে গেলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। এই ক্ষতির আঁচ টুর্নামেন্টের স্টেক হোল্ডার, ক্রিকেটারদের গায়ে সরাসরি গিয়ে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০২০ আইপিএলের পুরো মরশুমের জন্য ৯০ শতাংশ বিজ্ঞাপনের স্টক বিক্রি করে দিয়েছে ব্রডকাস্টাররা। সেগুলি ফেরাতে হবে। সেই সব বিজ্ঞাপনের জন্য নতুন স্লটও খুঁজতে হবে। সেক্ষেত্রেও রেভেনিউ উপার্জন কম হওয়ায় ক্রিকেটারদের বেতনে কাটছাঁট হতে পারে বলে আশঙ্কা।
আইপিএল বন্ধ হয়ে গেলে কত ক্ষতি
আইপিএলের বিজ্ঞাপন ও ডিস্ট্রিবিউশন বাবদ প্রায় ৩৩০০ কোটি টাকা বিসিসিআই-কে দিতে পারবে না মেন ব্রডকাস্টার স্টার। চুক্তি অনুযায়ী বোর্ডকে ৪৩৯ কোটি টাকা দিতে পারবে না স্পনসর ভিভো। সেন্ট্রাল স্পনসরাররাও বিসিসিআই-কে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দিতে পারবে না বলে আশঙ্কা।