টালমাটাল সময়ে আবারও সৌরভের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের গুরুদায়িত্ব, পারবেন কী মহারাজ!
১৯ বছর আগে যখন ভারতীয় দলের ব্যাটন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন ছিল টালমাটাল অবস্থা। ম্যাচ ফিক্সিং, বেটিং কেলেঙ্কারিতে আটকে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট।
১৯ বছর আগে যখন ভারতীয় দলের ব্যাটন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন ছিল টালমাটাল অবস্থা। ম্যাচ ফিক্সিং, বেটিং কেলেঙ্কারিতে আটকে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট। ঠিক সেখান থেকেই নতুন যুগের উত্থান ঘটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ভারতীয় ক্রিকেটের জয়যাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই।
১৯ বছর পর ভারতীয় ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন বাংলার মহারাজ। এমন একটা সময়, যখন দেশের ক্রিকেট মানচিত্রে ফের থাবা বসিয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং, বেটিং। দুর্নীতিতে জর্জরিত বিসিসিআই-কে স্বচ্ছ করতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় দেশের সুপ্রিম কোর্টও। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে কী কী চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
শ্রীনিবাসন অধ্যায়
২০১১ সালে শশাঙ্ক মনোহরের পরিবর্তে বিসিসিআই-র সভাপতি নির্বাচিত হন ইন্ডিয়া সিমেন্টের মালিক এন শ্রীনিবাসন। ২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি-র চেয়ারম্যানও হন চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক । ২০১৩ সালে সেই আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ায় এন শ্রীনিবাসনের। ২০১৪ সালে ওই মামলার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট শ্রীনিবাসনকে বিসিসিআই-র সভাপতি পদ ছাড়তে বলে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যান তিনি। ২০১৫ সালে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় এন শ্রীনিবাসনকে।
পরবর্তী অধ্যায়
এন শ্রীনিবাসন যুগের তিক্ত অভিজ্ঞতায় বিরক্ত হয় দেশের সুপ্রিম কোর্ট। বিসিসিআই-কে স্বচ্ছ করা যায় কীভাবে, তা নির্ধারণ করতে বিচারপতি আইএম লোধার নেতৃত্বে একটি প্যানেল তৈরি করে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই প্যানেলের সুপারিশ মতো বিসিসিআই-র জন্য নতুন সংবিধান তৈরি হয়। নজরদারির জন্য ভারতীয় বোর্ডের মাথায় কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং এথিক্স অফিসারকে বসানো হয়।
সমস্যা
সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত বিসিসিআই-র নতুন সংবিধান একদিকে যেমন স্বচ্ছতার ফেরানোর প্রশ্নে অমূল্য, উল্টো দিকে কড়া অনুশাসনের জেরে কখনও কখনও বোর্ডের কার্যপদ্ধতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও দাবি অনেকের।
সৌরভের কাজ
এমন পরিস্থিতি বিসিসিআই-র সভাপতি হিসেবে সংস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখা যেমন মূল কাজ হবে, ঠিক তেমনই কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও এথিক্স অফিসারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করে চলাও তাঁর অন্যতম দায়িত্ব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সৌরভ তা পারবেন বলেই বিশ্বাস করেন দেশের ক্রীড়া প্রেমীরা। বাংলার মহারাজের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ও অভিজ্ঞতা সেই কাজে তাঁকে ফুল মার্কস নিয়ে পাশ করাবে বলে বিশ্বাস সৌরভ ভক্তদের।