রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে যুবরাজের আগে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন মাহি! ফিরে দেখা '১১ বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি
যুদ্ধের মাঠ তখন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। সালটা ২০১১। আর উপলক্ষ্য বিশ্বকাপ ফাইনাল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের সেই ম্যাচের দিকে এশিয়ার দুটি দেশের নজর।
যুদ্ধের মাঠ তখন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। সালটা ২০১১। আর উপলক্ষ্য বিশ্বকাপ ফাইনাল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের সেই ম্যাচের দিকে এশিয়ার দুটি দেশের নজর। এমন হাই প্রোফাইল ম্যাচে ফের একবার নিজের অধিনায়কত্বের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন মোহেন্দ্র সিং ধোনি।
ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন কয়েক হাজার দর্শকের উত্তেজনা, আর টিভিতে তখন কয়েকশো কোটি ভারতবাসী অপলক দৃষ্টি। ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে ভারত ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৭৫ রান তাড়া করতে নামে ধোনির ভারত। ১০০ কোটি ভারতবাসীর মনে তখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে দেশের শোচনীয় হারের স্মৃতি। এমন এক পরিস্থিতিতে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে তখন সবেমাত্র পতন শুরু হয়।
ইনিংসের শুরুতেই শেওয়াগ শূন্য রানে আউট হন। সচিনের স্কোর ১৮,গৌতম গম্ভীর ৯৭এর লড়াকু ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন আর বিরাটের ঝুলিতে মাত্র ৩৫ রান। এমন পরিস্থিতিতে যুবরাজ ম্যাচ বাঁচিয়ে নেবেন ভেবে সকলে অধির আগ্রহে মাঠের দিকে যখন তাকিয়ে,তখন প্যাভিলিয়ন থেকে হাতে গ্লাভস পড়তে পড়তে ওয়াংখেড়ের ২২ গজের দিকে এগিয়ে গেলেন ভারত আধিনায়ক ধোনি।
গোটা ময়দান উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে তখন। চারিদিক থেকে 'ধোনি.. ধোনি .'স্লোগান। এরপর কব্জির দাপটে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে শুরু করেন রাঁচির রকস্টার। যুবরাজের আগেই মাঠে নেমে যান ধোনি । আর এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে ধোনি জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার বোলারদের আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংগসে খেলার দৌলতে তিনি চিনতেন। আর সেই জন্যই ড্রেসিং রুমে বসেই পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ভারত অধিনায়ক ধোনি। আর সেই ম্যাচে ৭৯ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ঝোড়ে ইনিংসে বিশ্বকাপ পকেটে পুরে ফেলে ধোনি অ্যান্ড কোং।