২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে কেন দ্বিতীয়বার টস করেছিলেন এমএস ধোনি?
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে কেন দ্বিতীয়বার কয়েন তুলেছিলেন এমএস ধোনি?
২৮ বছর ভারতের হাতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ তুলে দেওয়া অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। তা নিয়েই ক্রিকেট প্রেমীদের যত আগ্রহ। সে সবের বাইরে গিয়ে এবার মাহি-কে নিয়ে তাঁর এক অন্য অভিজ্ঞতার কথা বললেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন লেজেন্ড কুমার সাঙ্গাকারা। ২০১১-র বিশ্বকাপের কথা বললেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার ২৭৪
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে হেরে গিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। ৮৮ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন মাহিলা জয়াবর্ধনে।
ভারতের জয়
জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দল ৪৮.২ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য পৌঁছে যায়। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা প্রথম রাষ্ট্রের মার্যাদা পেয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপ ফাইনালে এত রানের লক্ষ্য সফলভাবে পেরিয়ে রেকর্ডও গড়েছিল এমএস ধোনির টিম ইন্ডিয়া।
ম্যাচ জয়ের পরের দৃশ্য
শ্রীলঙ্কার ফাস্ট বোলার নোয়ান কুলশেখরাকে ছক্কা হাঁকাতেই এমএস ধোনির দিকে এগিয়ে এসেছিলেন যুবরাজ সিং। ক্রিজের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তথা উইকেটরক্ষক কুমার সাঙ্গাকারার মুখ। যাঁকে হাসি মুখে পরাজয় স্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল।
টসে কী কাণ্ড
ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের সঙ্গে লাইভ কথোপকথনে কুমার সাঙ্গাকারা জানিয়েছেন ২০১১-র ফাইনালকে ঘিরে উত্তেজনায় ফুটছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে। এমন পরিবেশ তিনি কেবল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স এবং ওয়াংখেড়েই পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কিংবদন্তি। দর্শকের গর্জনে এক হাত দূরের আওয়াজও শোনা যাচ্ছিল না। ঠিক সেই অবস্থায় হেড কল করে তিনি টসে জিতেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাঙ্গা। কানফাটা আওয়াজের জেরে এমএস ধোনি তাঁর কল শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন লঙ্কান লেজেন্ড। ম্যাচ রেফারের অনুমতি অনুযায়ী মাহি আরও একবার কয়েন তুললেও ফলাফল একই এসেছিল বলে জানিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পেটে খাবার, করোনার আবহে বীরুর উদ্যোগের প্রশংসায় ভাজ্জি