টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার থেকে ঠিক কোথায় পিছিয়ে রইলেন ভারতীয় মহিলারা?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার থেকে ঠিক কোথায় পিছিয়ে রইলেন ভারতীয় মহিলারা?
মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমবার উঠেও স্বপ্নপূরণ হল না ভারতের। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৫ রানে ফাইনাল হেরে যান হরমনপ্রীত কৌররা। ম্যাচের প্রতি বিভাগেই ভারতকে টেক্কা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলারা। ঠিক কোথায় অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে রইলেন ভারতীয় মহিলারা, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
প্রণব মুখোপাধ্যায় (রাষ্ট্রপতি)
জয়ললিতা একজন লড়াকু মহিলা ছিলেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি লড়াই করেছেন। বহুবছর ধরে তাঁকে আমি চিনি। রাজ্যসভায় প্রথম প্রবেশ করেন তিনি। সেইসময়ে আমি হাউসের নেতা ছিলাম। তাঁর প্রয়াণে আমি গভীর শোকাহত।
গুরুত্বপূর্ণ টস
৮৬ হাজারেরও বেশি দর্শকে পরিপূর্ণ ঘরের মাঠ মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটাররা যে এগিয়ে ছিলেন, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টসে জেতাটা অজি শিবিরের কছে আশীর্বাদের মতো কাজ করে। যেন এমন মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন আলিসা হিলিরা। স্পোর্টিং উইকেটে শুরুতে ব্যাট করার সম্পূর্ণ ফায়দা তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে টস হারার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত ম্যাচও হেরে যায় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
নরেন্দ্র মোদী (প্রধানমন্ত্রী)
এআইএডিএমকে নেত্রীর প্রয়াণে ভারতীয় রাজনীতিতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল। যেভাবে সমাজের নীচুতলার মানুষ ও মহিলাদের জন্য জয়া কাজ করে গিয়েছেন তা সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
স্নায়ুর চাপ
একে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল, একশো তিরিশ কোটি দেশবাসীর প্রত্যাশা, তার মধ্যে মেলবোর্নের ৮৬ হাজার দর্শকের গর্জনে যেন ম্যাচে প্রথম থেকেই কিছুটা গুটিয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় মহিলারা। স্পিনার দীপ্তি শর্মাকে প্রথম ওভার বল করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। বোলারের মুখ দেখেই মনে হচ্ছিল, যে তিনি রযেছেন প্রবল চাপে। কার্যক্ষেত্রেও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অজি ওপেনার আলিসা হিলিকে প্রথম বলই জুসি ফুলটস দিয়ে ফেলেন দীপ্তি। তুলে চার হাঁকাতে কোনও ভুল করেননি অস্ট্রেলিয়ার মহিলা উইকেটরক্ষক। ওই ওভারেই হিলির সহজ ক্যাচও ফেলে দেন ১৬ বছরের শাফালি বর্মা। দীপ্তির ওভার থেকে ১৪ রান বের করেন অজি ওপেনাররা। ম্যাচ হয়তো সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে চলে যায়।
সুমিত্রা মহাজন (লোকসভার অধ্যক্ষ)
শুধু তামিলনাড়ু নয়, গোটা দেশ জয়ললিতার প্রয়াণে শোকাহত। তিনি শুধু কঠোরই ছিলেন না, কড়া প্রশাসকও ছিলেন। রাজনীতির জন্য এটা বড় ধাক্কা।
জঘন্য ফিল্ডিং
বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার চাপ যে কতটা, তা ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের দেখে বোঝা গিয়েছে। বোলারদের পাশাপাশি ম্যাচ হারের জন্য ভারতীয়দের জঘন্য ফিল্ডিং-কে অবশ্যই দায়ী করা যায়। ম্যাচের প্রথম ওভারেই অজি ওপেনার আলিসা হিলির ক্যাচ ফেলেন শাফালি বর্মা। ফলো-থ্রুতে অজি ওপেনার বেথ মুনির ক্যাচ ফেলেন স্পিনার রাজেশ্বরী গায়েকোয়াড়ও। এই দুই ব্যাটসম্যানই ভারতের সব হিসেব ওলোট-পালোট করে দেন। ৭৫ রান করেন হিলি। ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুনি। অজি ওপেনারদের মধ্যে ১১৫ রানের পার্টনারশিপও হয়। এছাড়াও ভারতীয় ফিল্ডারদের মন্থর গতির জন্য এক রানকে দুই কিংবা দুই রানকে তিন বানাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের কোনও অসুবিধা হয়নি।
রাজনাথ সিং (কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)
জয়ললিতা অসাধারণ নেতরী ছিলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে আইকন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আমি ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
ব্যাটিং বিপর্যয়
টুর্নামেন্টে জুড়ে যে ব্যাটিং ভারতের প্রধান অস্ত্র হিসেবে উঠে আসে, তা ফাইনালে ভোঁতা হয়ে যায়। এই বিশ্বকাপে সর্বাধিক ব্যাটিং স্ট্রাইক রেটের মালকিন ১৬ বছরের শাফালি বর্মা, ফাইনালের চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হন। মাত্র চার ম্যাচে ১৬১ রান করেও ফাইনালে ক্রিকেট প্রেমীদের হতাশ করেন তিনি। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শাফালি। ব্যর্থ হন জেমেইমা রডরিগেজও (০)। অভিজ্ঞ স্মৃতি মান্ধানা (১১) ও হরমনপ্রীত কৌর (৪) তাঁদের অভিজ্ঞতার প্রতি সুবিচার করতে পারলেন কই! অল-রাউন্ডার দীপ্তি শর্মা (৩৩) ও বাংলার রিচা ঘোষ শেষ দিকে কিছুটা চালিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও, ম্যাচ জিততে তা যথেষ্ট বলে মনে হয়নি।
বেঙ্কাইয়া নাইড়ু (কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী)
জয়ললিতার প্রয়াণ দেশের জন্য বিশাল ক্ষতি। তিনি সাহসী ও দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। কঠোর হাতে সমস্ত রাজ্যপাঠ সামলেছেন। গরিবদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার জন্যই তাঁকে গোটা তামিলনাড়ু আম্মা নামে সম্বোধন করে।
টিবি জয়চন্দ্র (কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী)
ভারতীয় রাজনীতিতে মহিলা হিসাবে জয়া সেরাদের একজন। কর্ণাটকে জন্মে তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যপাঠ সামলেছেন, যা এককথায় অসাধারণ।
প্রকাশ জাভড়েকর (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)
জয়ললিতার মৃত্যু সকলের জন্য দুঃখের। তিনি নিজের মতো করে রাজনীতি করেছেন, যা আম্মা ব্র্যান্ডের রাজনীতি নামে খ্যাত। এবং এর মাধ্যমে গরিব নিজেদের এর সঙ্গে জুড়তে পেরেছে।
মল্লিকার্জুন খাড়গে (কংগ্রেস)
জয়ললিতার প্রয়াণ তামিলনাড়ুর জন্য দারুণ ক্ষতি। গরিবদের জন্য অনেক কাজ করেছেন তিনি। এসবই সকলের স্মৃতিতে থেকে যাবে।
শিবরাজ সিং চৌহান (মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী)
জয়ললিতা অসাধারণ নেত্রী ছিলেন। নিজের উন্নয়ন দিয়ে তামিলনাড়ুর মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন তিনি। সেজন্যই তামিলনাড়ুর মানুষ ভালোবেসে তাঁকে আম্মা বলে ডাকত।
নিতিন গড়কড়ী (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)
জয়ললিতার প্রয়াণ তামিলনাড়ুর রাজনীতির জন্য তো বটেই, দেশের প্রেক্ষাপটেও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করল। তিনি যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন আশা করি তাঁর দেখানো পথেই দল এগিয়ে যাবে।
সিদ্দারামাইয়া (কর্ণাটক মুখ্যমন্ত্রী)
জয়ললিতার প্রয়াণ বিশাল ক্ষতি। আমি নিজে চেন্নাই গিয়ে শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করব।
অনন্ত কুমার (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)
এটা অপূরণীয় ক্ষতি। জয়ললিতা গরিবের কাছে ভগবান ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের গিয়ে জয়াজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
লালুপ্রসাদ যাদব (আরজেডি প্রধান)
জয়ার প্রয়াণে দেশের ক্ষতি হল। এমন একটা সময় যখন সারা দেশে হইচই, অস্থিরতা চলছে, এমন সময়ে ওনার মতো নেতার বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল।
নীতীশ কুমার (বিহারের মুখ্যমন্ত্রী)
জয়ললিতার প্রয়াণে শুধু যে তামিলনাড়ু রাজনীতির ক্ষতি হল তাই নয়, সারা দেশের ক্ষতি হল। গোটা বিহার এজন্য শোক পালন করছে।
গুলাম নবি আজাদ (কংগ্রেস নেতা)
দেশের অন্যতম সেরা তারকা হারাল ভারত। জয়াজি রাজনীতি ও সিনেমা দুটি ক্ষেত্রেই নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত।
মনোহর পার্রিকর (কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী)
গরিব মানুষের জন্য লড়াই করেছেন জয়ললিতা। এমন সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছেন যা পরে অন্য রাজ্যগুলি অনুসরণ করেছে।
ধর্মেন্দ্র (অভিনেতা)
আমি স্তম্ভিত। ইজ্জত সিনেমায় তিনি আমার সহ অভিনেতা ছিলেন। যখন শুনেছিলাম যে তিনি অসুস্থ, তখন তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম।
শত্রুঘ্ন সিনহা (বিজেপি নেতা)
তিনি লৌহমানবী ছিলেন। অসাধারণ মহিলা, চৌম্বকীয় ব্যক্তিত্ব ও মহান নেত্রী ছিলেন জয়ললিতা। মানুষের সঙ্গে তাঁর অসাধারণ যোগাযোগ ছিল।
ধোনিকে কোনও স্পোশাল সুযোগ নয়, আইপিএলে পারফর্ম কর দলে ঢোক! স্পষ্ট বার্তা!