ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হল হনুমা বিহারী, জানেন কে এই তরুণ ক্রিকেটার
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ড সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টে ভরতের ২৯২তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারীর।
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ড সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টে ভরতের ২৯২তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারীর। এমএসকে প্রসাদের পর বহুদিন বাদে অন্ধ্রের কোনও ক্রিকেটার দাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। তবে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছিলেন হারদরাবাদের হয়ে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে এই হনুমা বিহারী।
প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ড সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টে ভরতের ২৯২তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারীর। এমএসকে প্রসাদের পর বহুদিন বাদে অন্ধ্রের কোনও ক্রিকেটার দাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। তবে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছিলেন হারদরাবাদের হয়ে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে এই হনুমা বিহারী।
তাঁর ডাক পাওয়ার কারন
ঘরোয়া ক্রিকেটে গত মরসুমে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বিভিন্ন ফর্ম্যাট মিলিয়ে তিনি ২০০০ রান করেছেন। ভারত এ দলের হয়েও তাঁর পারফরম্যান্স ভাল ছিল। তা হনুমা বিহারীকে শেষ দুই টেস্টের জন্য দলে ডাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। তাঁর পাশাপাশি সেভাবে আলোচিত না হলেও কিন্তু বিহারী একই মরসুমে ৬ ম্যাচে ৯৪ গড় নিয়ে ৭৫২ রান তুলেছেন। সেইসঙ্গে ওড়িশার বিরুদ্ধে তিনি রঞ্জিতে অপরাজিত ৩০২ রান করেন এবং রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে ৩২৭ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন। বিদর্ভ দলে উমেশ যাদবের মতো বোলার ছিলেন।
বিদেশের মাটিতে
ইংল্যান্ডের মাটিতেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ২০১৪ ও ২০১৫ - দুই বছর তিনি শেপার্ড ফার্স্ট ডিভিশন লিগে খেলেছেন। সেখানে মোট ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। অন্ধ্র দলের হয়ে শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি সফরেও গিয়েছিলেন তিনি।
ভারত এ দলের হয়ে
ভারত এ দলের ৪দিনের এ ১দিনের ম্যাচের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনালে তিনি ৩ ইনিংসে ২৫৩ রান করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১৪৭ রান করেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে ৪ দিনের ম্যাচে তিনি ম্য়াচ জেতানো ১৪৮ রান করেছিলেন। তবে টি২০-তে তিনি ব্য়াটসম্যান হিসেবে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে তিনি ২০১৫ সালে শেষ আইপিএল খেলেছিলেন।
অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেটে
২০১২ সালে অনুর্ধ ১৯ ভারতীয় দলের হয়ে হনুমা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। প্রথমে তাঁকে অনুর্ধ ১৯ স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে মনন ভোরার আঙুল ভাঙায় তাঁর সামনে সুযোগ আসে। অত্যন্ত স্বল্প সময়ের নোটিশে তাঁকে যেতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়।
|
ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ায় তাঁর প্রতিক্রিয়া
ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর হনুমা জানিয়েছেন, 'গত কয়েক বছর ধরেই আমি ঘরোযা ক্রিকেটে রান করছিলাম। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশা করিনি। তবে আমি চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি।'