বিশ্ব জয়ের পর কেন সচিনকে কাঁধে চাপিয়ে মাঠ ঘুরেছিলেন কোহলি?
বিশ্ব জয়ের পর কেন সচিনকে কাঁধে চাপিয়ে মাঠ ঘুরেছিলেন কোহলি?
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এরপর দলের সিনিয়র মোস্ট তথা মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপিয়ে ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণ করেছিলেন সতীর্থরা। সেই দৃশ্য ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনের মণিকোঠায় ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো। কেন সেদিন সচিনকে এমন অনন্য সম্মান দেওয়া হয়েছিল, তা জানালেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
প্রথম পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরপ্রদেশে এতবছরের বিধানসভা নির্বাচনে ২০১২ সালের আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই চেয়ারে বসে পুরো পাঁচ বছর রাজ্য শাসন করতে পারেননি। ২০০৭ সালে বসপা প্রধান মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী হন এবং পুরো সময় পূর্ণ করেন।
সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২৮ বছর পর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। দেশজুড়ে সেই জয়ের উৎসবে পালন করা হয়েছিল। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপিয়ে মাঠ ঘুরেছিলেন বিরাট কোহলি, হরভজন সিং, সুরেশ রায়নারা। জাতীয় পতাকা হাতে তুলে দর্শকদের অভিবাদন কুড়িয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেই দৃশ্য ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে জীবন্ত।
প্রথম বিধানসভা ভোট
প্রথম বিধানসভা ভোটে মোট আসন ছিল ৩৪৬টি। এর মধ্যে ৮৩টি আসনে দুজন করে জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সেই সময়ে এমন নিয়মই রাখা হয়েছিল। গোবিন্দ বল্লভ পন্থ প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে তিনবছরের মধ্যে পন্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় চলে গেলে সম্পূর্ণন্দ দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন। এরপরে ফের ১৯৫৭ সালে নির্বাচন হয়।
কেন এমন সম্মান প্রদর্শন
সচিন তেন্ডুলকরকে এমন সম্মান প্রদর্শনের পিছনে বিশেষ কারণ ছিল বলে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর বক্তব্য, ২০১১-এর বিশ্বকাপ ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের সোনা দিয়ে বাঁধানো কেরিয়ারের শেষ ধাপ। ভারত অধিনায়কের কথায়, ওই টুর্নামেন্টের আগে ২১ বছর দেশের বোঝা বয়ে বেরিয়েছেন সচিন। প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। বাইশ গজে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। দেশকে কাঙ্খিত বিশ্বকাপ দিয়ে লিটল মাস্টারের বৃত্ত সম্পন্ন হয়েছিল বলে মনে করেন কোহলি। তাই কিংবদন্তিকে তাাঁরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
১৫ বছরে ৫ মুখ্যমন্ত্রী
প্রথমদিকে কংগ্রেসের সরকারই উত্তরপ্রদেশে ছিল। একসময়ে ১৫ বছরে কংগ্রেস সরকার পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করে। এর মধ্যে সুচেতা কৃপালিনী প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উত্তরপ্রদেশে শপথ নেন।
সচিন অনুপ্রেরণা
সচিন তেন্ডুলকর তাঁর কাছে অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো বহু ক্রিকেটার মাস্টার ব্লাস্টারকে আদর্শ করেই বেড়ে উঠেছেন বা উঠছেন বলে মনে করেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক।
১৯৬৭ সালের নির্বাচন
পরের পর মুখ্যমন্ত্রী বদল করে ১৯৬৭ সালে ৪২৫ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস মাত্র ১৯৯টি আসন পায়। চরণ সিংয়ের ভারতীয় ক্রান্তি দল, জন সংঘ, সিপিএম, রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া, স্বতন্ত্র পার্টি, প্রজা স্যোশালিস্ট পার্টি মিলে জোট তৈরি করে। এছাড়া ২২জন নির্দল বিধায়ক জোটকে সমর্থন করলে চরণ সিং মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে সেই সরকার এক বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি।
সচিনের পথেই বিরাট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১০০টি শতরান রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি এখনই ৭০টি শতরান করে ফেলেছেন। এভাবে চললে কোহলি, সচিনের রেকর্ড ছাপিয়ে যাবেন বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যদিও এ ব্যাপারে বিশেষ মাথাব্যাথা নেই ভারত অধিনায়কের।
১৯৭০-৭৭ সময়ে রাষ্ট্রপতি শাসনকাল
১৯৬৯ সালে ফের নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কংগ্রেস বহুমত পায়নি। ৪২৫টি আসনে মধ্যে ২১১টি পায় কংগ্রেস। চরণ সিংয়ের ভারতীয় ক্রান্তি দল মাত্র ৯৮টি ও জন সংঘ ৪৯টি আসন পায়। এর পরের আট বছরে মোট চারবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
জনতা দলের কার্যকাল
ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে জরুরি অবস্থা পরবর্তী ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোট পায় জনতা পার্টি। ফলে বিধানসভা ভেঙে যায়। নতুন করে ভোট হওয়ায় ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৫২টি পায় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হন রাম নরেশ যাদব। তার মাত্র দুই বছরের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ফের মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়। নতুন দায়িত্ব পান বেনারসী দাস। তবে সবমিলিয়ে তিন বছরের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ে।
১৯৮০ পরবর্তী অধ্যায়
১৯৮০ সালের নির্বাচনে ৪২৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৩০৯টি আসন পায়। মুখ্যমন্ত্রী হন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং। তবে কংগ্রেস এবারও মুখ্যমন্ত্রী বদলের রাস্তা থেকে সরেনি। এরপরের আট বছরে মোট ৬বার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়। বোফর্স কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং।
১৯৮৯-২০০৭ সালের মধ্যবর্তী সময়
১৯৮৯ সালের নির্বাচনে ভিপি সিংয়ের জনতা দল সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। বাইরে থেকে সমর্থন দেয় বিজেপি। মুলায়ম সিং সেইসময়ে জনতা দলের নেতা ছিলেন। তিনি প্রথমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। সেইসময়ে জাতপাতের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশে। ওবিসি, দলিত, মুসলমান সম্প্রদায়কে ধীরে ধীরে ভোট পাওয়ার ব্লকে পরিণত করা হয়।
১৯৯৩ সালে উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে একজোট হন মুলায়ম সিং ও মায়াবতী। যদিও সেই সম্পর্ক মধুর হয়নি। ১৯৯৫ সালে নির্বাচনে জিতে মায়াবতী উত্তরপ্রদেশের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হন। তাঁকে সমর্থন করে বিজেপি।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রী
মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরবর্তী সময় উত্তরপ্রদেশে শাসনকাল অনিশ্চয়তায় ভরা ছিল। এইসময়ে মোট ১০জন মুখ্যমন্ত্রী বদল হন ও তিনবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। এরই মাঝে কংগ্রেসের জগদম্বিকা পাল মাত্র ৪৮ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন।
২০০৭ পরবর্তী সময়
২০০৭ সালে নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন মায়াবতী। এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণ সময় নিজের চেয়ারে কাটান। এরপরে ২০১২ সালে নির্বাচনে জিতে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন অখিলেশ যাদব। তিনিও নিজের পাঁচ বছরের সময় পূর্ণ করেছেন।
করোনাকালে আইপিএলে সম্ভবত অনুষ্কা-রীতিকাদের পাশে পাবেন না বিরাট-রোহিত