পুরনো দলের বিরুদ্ধে চেনা মাঠে কি দেখা যাবে 'গেইলস্টর্ম'! আশায় পাঞ্জাব, আতঙ্কে ব্যাঙ্গালোর
২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে আসেন ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। ব্যস, সেই শুরু। তারপরে আরসিবি-র হয়ে আইপিএলে একেরপর এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলে গিয়েছেন গেইল।
২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে আসেন ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। ব্যস, সেই শুরু। তারপরে আরসিবি-র হয়ে আইপিএলে একেরপর এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলে গিয়েছেন গেইল। প্রথম ম্যাচেই কলকাতার বিরুদ্ধে শতরান করে হুঙ্কার দিয়েছিসেন। তারপরের সাত বছরে আরসিবি বরাবর গেইলের চওড়া ব্যাটে ভর করে জেতার নেশায় বুঁদ হয়েছে। বিশেষ করে আরসিবি-র ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং পিচ ও দ্রুতগতির আউটফিল্ডে গেইলে আটকানো সহজ হয়নি। সেই গেইল এবার খেলছেন পাঞ্জাবের হয়ে।
কেন আরসিবিতে নয় গেইল
সাতবছর আরসিবি-তে খেলার পরে এবার ক্রিস গেইল খেলছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে। নিলামে তাঁকে কেনেনি ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলি পরে যুক্তি দিয়েছেন, আগামী তিন বছরের কথা ভেবে দল সাজিয়েছে আরসিবি। সেখানে ৩৮ বছরের গেইলকে জেনেবুঝেই রাখা হয়নি।
কোহলিকে জবাব দেবেন গেইল!
এই নিয়ে গেইল কিছু বিবৃতি দেননি। তবে কোহলির এই কথা যে একেবারেই গেইলের গায়ে লাগেনি তা বোধহয় নয়। তার উপরে প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে গেইলকে খেলানো হয়নি। দলের মেন্টর বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও অধিনায়ক অশ্বিন বোধহয় আরসিবি ম্য়াচ থেকেই গেইলকে খেলানোর কথা ভেবে রেখেছিলেন।
চিন্নাস্বামীর চেনা মাঠ
চিন্নাস্বামীর চেনা মাঠে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান করেছেন গেইল। পুনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বিধ্বংসী ১৭৫ রান করে সেই ম্যাচে অপরাজিতও ছিলেন। সেই মাঠে গেইল এদিন জ্বলে উঠলে আশ্চর্যের কিছুই থাকবে না।
টি২০-তে সেঞ্চুরির রাজা
গেইল টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে এখনও দশ হাজার রান পূর্ণ করেননি। তবে টি২০-তে দশ হাজার রান পেরিয়ে গিয়েছেন। কেরিয়ারে ২০টি টি২০ শতরান করেছেন গেইল। তার মধ্যে ৫টি আরসিবির হয়ে। এবং এই পাঁচটি শতরানের মধ্যে ৩টি এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই। ফলে বিরাট কোহলি নিশ্চয়ই গেইলেক নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন এবং পাঞ্জাব টিম ম্যানেজমেন্ট আশায় বুক বেঁধে রয়েছে।