আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কায়, বাইশ গজে লড়াইতে প্রস্তুতি সারছে ভারত -শ্রীলঙ্কা
জরুরি অবস্থার মধ্যে রোহিত শর্মার ভারত শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হতে তৈরি। রোহিত মনে করছেন ভারত ফেভারিট নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুরন্ত সাফল্য। সামনেই আইপিএলের একাদশ মরশুম। ভারত -বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা এই তিনদলের মধ্যে হবে লড়াই। ২০১৮-র এই ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চলেছেন সব ক্রিকেটাররাই। তবে আদৌ টুর্নামেন্ট কতটা হবে তা এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
[আরও পড়ুন:সমালোচকদের একহাত বিরাটদের হেড স্যারের, অধিনায়ক ইমরানকে মনে করাচ্ছেন কোহলি মত শাস্ত্রীর ]
বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে কার্যত স্তব্ধ শ্রীলঙ্কার জনজীবন, ঘোষিত হয়েছে জরুরি অবস্থা। আগামী ১০ দিনের জন্য এই জরুরী অবস্থা ঘোষিত হয়েছে সেখানে। গতকাল শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে বহু এলাকা। এর জেরে প্রথম ম্যাচ এখনও অবধি বাতিল না হলেও পুরো টুর্নামেন্টেই আশঙ্কার মেঘ জমে রয়েছে।
মার্চের ৬ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। শ্রীলঙ্কার ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলি। রাউন্ড রবিন পর্বের ম্যাচে প্রতিটা দল একে অপরের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। আর তাদের থেকে সেরা দুটি দলের মধ্যে হবে ফাইনাল।
এদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে কলম্বোতে রোহিত শর্মা সাবধানী পদক্ষেপ ফেলছেন , তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা ফেভারিট নই। টি-টোয়েন্টি বরাবরই অনিশ্চয়তার খেলা। দুই প্রতিপক্ষই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা বেশ কঠিন, আমরা ভাল ক্রিকেট খেলব।'
এই প্রসঙ্গে তিনি ইপিএলের প্রসঙ্গও টেনেছেন। বলেছেন ইপিএলেও যেরকম কোনও ফেভারিট হয়না তেমনিই টি-টোয়েন্টিতেও কোনও ফেভারিট হয়না। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফেরার পর দল যেরকমভাবে পারফর্ম করছে তাতে সকলের প্রত্যাশা তুঙ্গে। তবে সেটা যাতে চাপ না হয়ে যায় তাই আত্মবিশ্বাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখছেন।
তবে এবারের ত্রিদেশীয় সিরিজে বেশ কিছু তরুণ ও নতুন মুখ নিয়ে গেছেন। ফলে রোহিত একেবারেই সাবধানে পা ফেলতে তা
উল্লেখ্য, ধোনি, কোহলিকে ছাড়াই কলম্বোতে উড়ে গিয়েছে ভারতীয় দল। আর স্বাভাবিকভাবেই রোহিতের কাঁধেই রয়েছে কচিকাঁচাদের দায়িত্ব। সহ-অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান।ঋষভ পন্থ, মহম্মদ সিরাজ, দীপক হুডা, ওয়াশিংটন সুন্দরদের মতো নতুনরা। ফলে বিশ্বকাপের আগে দলের সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিতে চাইছেন নির্বাচকরা। পাশাপাশি নতুনরাও চাইবে এই টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করে ২০১৯ বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তালিকায় নাম লেখাতে। সব মিলিয়ে এই সিরিজ ভারতীয় তরুণদের কাছে বড় চ্যালঞ্জ।
এদিকে ক্রিকেটীয় বিষয়গুলি থাকলেও আগামী দশদিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সুরক্ষা নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকছেই। এদিন নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় টহল দিচ্ছে শস্ত্রধারী পুলিশ ও কমান্ডো।
[আরও পড়ুন:নেইমার নেই, পিএসজি -র ভরসা ডি মারিয়া, রোনাল্ডো-বেলরা দেখছেন কোয়ার্টারের টিকিট ]