বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে রান আউট, কী বললেন সেই গাপটিল
বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে রান আউট, কী বললেন সেই গাপটিল
২০১৫-র বিশ্বকাপে ৫৪৭ রান করে সেরা ব্যাটসম্য়ান হয়েছিলেন। তার রেশ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অব্যাহত থাকবে বলেই ভেবেছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। যদিও বাস্তবে হয়েছে উল্টো। ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে। ১০ ম্যাচে মাত্র ১৮৬ রান করেন তিনি।
তবু টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনালের সুপার ওভারের শেষ বলে তাঁকে নায়ক হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিধাতা। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি গাপটিল। প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের আশা নিউজিল্যান্ডের কাছে আশাই থেকে যায়।
তা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ যে তাঁর খুব খারাপ কেটেছে, তেমনটা মনে করেন না কিউই ওপেনার। বলেছেন, লর্ডসের ১৪ জুলাইয়ের ফাইনাল তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনে যেমন ভালো, তেমনই খারাপ দিন।
কী হয়েছিল সেদিন
ঐতিহাসিক লর্ডসে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনাল নির্ধারিত ওভারে টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। প্রথম ব্যাট করে সুপার ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। ১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে জেমস নিশহামের সঙ্গে ক্রিজে আসেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। জোফ্রা আর্চারের ওই ওভারের প্রথম পাঁচটি বল খেলেন নিশহাম। শেষ বাকি ছিল দুই রান। দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন গাপটিল। কিন্ত দৌড়ে দুই রান নিতে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান। ম্যাচ ও কাপ জেতে ইংল্যান্ড।
ওভার থ্রো-তে ৬
মার্টিন গাপটিলের করা থ্রো-ই বেন স্টোকসের ব্য়াটে লেগে বাউন্ডারি স্পর্শ করে। ৬ রান পায় ইংল্যান্ড। অনেকের দাবি, আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী সেখানে এক রান কম পাওয়া উচিত ছিল ইংরেজদের। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিতে ভুল না করলে, সেদিন নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতত বলে অনেকের দাবি। ভাগ্যক্রমে সেই ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত থাকায় গাপটিলের নাম উঠেছে ইতিহাসে।
কী বলছেন গাপটিল
সেই দৃশ্য কোনও দিনই ভুলবেন না ক্রিকেট প্রেমীরা। সুপার ওভারের শেষ বলে দুই রান নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করা মার্টিন গাপটিলকে আউট করে লর্ডসের সবুজ গালিচায় নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব পালন করছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা। ঠিক তখনই মাথা নিচু করে মাঠের মাঝখানে বসে থাকতে দেখা যায় কিউই ওপেনারকে। গাপটিলকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন তাঁর টিম মেট এবং প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। সেই মুহূ্র্তটা তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনের সবচেয়ে আবেগপ্রবণ ও দুঃখের ছিল বলে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন মার্টিন গাপটিল। এত কাছে এসেও দেশকে বিশ্বকাপ দিতে না পারার হতাশা তাঁর মনে আজীবন থাকবে বলেই মনে করেন কিউই ওপেনার।
|
ভালো দিক
গাপটিল বলেছেন, গোটা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত দল হিসেবে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি টিম মেটদের ভালোবাসা, সহচার্য তাঁর জীবনের পরম প্রাপ্তি বলে জানিয়েছেন মার্টিন গাপটিল।