'অ্যাসেজের থেকেও বড়', কোন ইস্যুতে যুবরাজ ও আফ্রিদির গলায় এই সুর?
'অ্যাসেজের থেকেও বড়', কোন ইস্যুতে যুবরাজ ও আফ্রিদির গলায় এই সুর?
তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কি দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব? তা এখন প্রায় কোটি টাকার প্রশ্ন। দীর্ঘ প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পর ইমরানের দেশে ফের শুরু হয়েছে আইসিসি স্বীকৃত ক্রিকেট সিরিজ। পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। এই মুহূর্তে পাকিস্তান সফরে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও।
এর মাধ্যমেই ভারতকে তাদের দেশে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার জন্য প্রচ্ছন্ন আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। যদিও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো দূর, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলার জন্য দল পাঠাতে রাজি নয় বিসিসিআই। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার যথাক্রমে যুবরাজ সিং ও শাহিদ আফ্রিদির কথা মূল্যবান বলে মনে হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের।
অনড় ভারত
চলতি বছর পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজন হওয়ার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ইমরান খানের দেশে ক্রিকেট দল পাঠাতে রাজি হচ্ছে না বিসিসিআই। পাকিস্তানের পরিবর্তে কোনও নিরপেক্ষ দেশে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা এসিসি-র কাছে দরবার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
অনড় পাকিস্তানও
ভারতের এই অনড় মনোভাব দেখে এ ব্যাপারে নিজেদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা পিসিবি। হুমকির সুরে জানিয়েছে, বিরাট কোহলিরা পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না এলে, তারা ভারতে ২০২১-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসবে না। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা এসিসি-র কাছে পিসিবি-র অনুরোধ, এশিয়া কাপ হোক তাদের দেশে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দেশের ক্রিকেটারদের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কী সম্ভব
এমন একটা পরিস্থিতি, যেখানে এশিয়া কাপ নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়, সেখানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিষয়টি কেবল মাত্র ক্রীড়া ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নেই। এ ব্যাপারে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্তরে আলোচনা প্রয়োজন। যা এই মুহূর্তে অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছিল ২০১২ সালে। সেবার ভারতে ক্রিকেট খেলতে এসেছিল ইমরান খানের দেশের ক্রিকেটাররা। ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছিল।
যুবরাজের বক্তব্য
ভারতীয় দলের জার্সিতে ২০০৪, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। সেই অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন যে দুই দেশের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার অর্থ আবেগ, উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা। রাজনৈতিক টানাপোড়েনকে সরিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের অর্থ খেলার উন্নতি বলে মনে করেন ভারতের বাঁ-হাতি লেজেন্ড।
অ্যাসেজের থেকেও বড়
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজই দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে লঘু করবে বলে বিশ্বাস করেন শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানি লেজেন্ডের মতে, দুই দেশের ক্রিকেট মোকাবিলার গুরুত্ব অ্যাসেজের থেকেও বড়।