কলকাতায় রক্তাক্ত ফুটবল, প্রথম ডিভিসনের খেলায় মার খেয়ে মাঠ ছাড়লেন রেফারি
রক্তাক্ত কলকাতা লিগ। ফুটবলারদের হাতে মার খেয়ে মাঠ ছাড়লেন রেফারি। বারাসতে প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে ডালহৌসি বনাম তালতলা দীপ্তির ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার।
হায় বাংলার ফুটবল। দিন কয়েক আগে যে শহরে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আসর ঘিরে মাতামাতি চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছেছিল, সেখানেই ঘটে গেল রেফারি প্রহৃত হওয়ার মত ঘটনা।
রক্তাক্ত
হয়ে
গেল
কলকাতা
লিগ।
ফুটবলারদের
হাতে
মার
খেয়ে
মাঠ
ছাড়লেন
রেফারি।
মঙ্গলবার
প্রথম
ডিভিশনের
ম্যাচে
ডালহৌসি
বনাম
তালতলা
দীপ্তির
ম্যাচে
ঘটে
গেল
নক্কারজনক
ঘটনা।
ম্যাচের
৮০
মিনিটে
ডালহৌসির
বিরুদ্ধে
পেনাল্টি
দেন
রেফারি
রবীন
দাস।
ম্যাচে
তখন
২-০
গোলে
এগিয়ে
ছিল
তালতলা
দীপ্তি।
অভিযোগ,
তাঁর
উপর
হামলা
করেন
ডালহৌসির
তিন
ফুটবলার
বীর
ওঁরাও,
রানা
চক্রবর্তী
এবং
বিবেক
দাস।
রেফারি
রবিন
বিশ্বাস
বললেন,
'আমাকে
মেরেছে
ওই
তিন
জনই।
চোখে-মুখে
ঘুষি
মেরেছে।
আমার
চোখ
দিয়ে
রক্ত
বেরোচ্ছিল।
মুখ
ফুলে
গিয়েছে।
আমি
ম্যাচ
খেলানোর
মতো
অবস্থায়
ছিলাম
না।
খেলা
বন্ধ
করে
আমি
বারাসত
হাসপাতালে
যাই।'
এদিকে যেহেতু প্রথম ডিভিসনের প্রতিটি ম্যাচে পুলিশ দেয় না আইএফএ। তাই রেফারিকে বাঁচানোর জন্য পুলিশি সহযোগিতাও পাওয়া যায়নি। তবে সৌভাগ্য ক্রমে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় তাতে করেই হাসপাতালে এবং থানায় যান রেফারি ও তাঁর দুই সহকারী। ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পরেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মাঠেই বসেছিল দুই দল। পরে রেফারির অনুমতি নিয়ে খেলোয়াড়রা চলে যান। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'রেফারি সংস্থার সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। রেফারির রিপোর্ট পেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে অভিযুক্তদের।' কিন্তু মাঠে কেন পুলিশ ছিল না? উৎপলবাবু বলেন, 'এ সব ম্যাচে সাধারণত পুলিশ থাকে না। সব ম্যাচে পুলিশ দেওয়া সম্ভবও হয় না।'