এক পরাজয়ে কঠিন হল 'এশিয় স্বপ্ন'! কোন কোন অঙ্কে ভারত যেতে পারে পরের রাউন্ডে - দেখে নিন
এখানে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০১৯-এর নকআউট পর্যায়ে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারতের বিভিন্ন পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি), বলা যেতে পারে দিনটা ভারতের ছিল না। কিছু না হলেও ৫টি নিশ্চিত গোল দুর্ভাগ্য়ের জন্য় পায়নি ভারত। কোনটি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়েছে, কোনটি কয়েক চুলের জন্য তিন কাঠির মধ্যে থাকেনি। উল্টো দিকে রক্ষণের দুটি মুহূর্তের ভুলে গোল খেতে হয়েছে। যার ফলে আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হেরে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারত নেমে গিয়েছে গ্রুপের ২ নম্বরে।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি), বাহরিনের বিরুদ্ধে এশিয়ান কাপ ২০১৯-এর মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। আমিরশাহির বিরুদ্ধে ড্র করতে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকত ভারত। তবে যদি গ্রুপে প্রথম দুই দলের মধ্য়ে নাও থাকতে পারে ভারত, তাহলেও এইবারের এশিয়ান কাপের নিয়ম অনুযায়ী ভারতের সামনে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। ৬টি গ্রুপের তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সেরা ৪টি দলও নকআউট রাউন্ডে খেলবে।
সুরজিৎ দাশগুপ্ত
৬৪ বছরের সুরজিৎবাবু জানিয়েছেন, প্রথমবার যখন ফৈজাবাদে তিনি ভগবানজীর দর্শন পান, সে মুহূর্ত ভোলার নয়। মুখে কাপড় টেনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি।
কিছুদিন পরে যখন কিছুটা পরিচিত হয়ে যেতেন তখন কাপড়ে মুখ ঢাকা ছাড়াও তাঁকে দেখা গিয়েছে। সুরজিৎবাবুর কথায়, মুখ দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন, যে মানুষটা সারা পৃথিবীর কাছে মৃত বলে ঘোষিত, তিনি তাঁর সামনে রয়েছেন।
"কোনও ভুল নয়, উনি নেতাজিই ছিলেন। চুল পাতলা হয়ে এসেছিল। তবে মুখে দাঁড়ি ভর্তি ছিল। বাকি সব এক ছিল। চোখে এমন তীব্র জ্য়োতি ছিল যে নাগাড়ে সেদিকে তাঁকানো সম্ভব ছিল না", এমনটাই বলেন সুরজিৎবাবু।
বাহরিনের বিরুদ্ধে জয়
সবচেয়ে সহজ অঙ্কটা হল বাহরিনের বিরুদ্ধে জয়। সেক্ষেত্রে ভারতকে ইউএই বনাম থাইল্য়ান্ড ম্য়াচের দিকে তাকাতেই হবে না। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে হাসতে হাসতে শেষ ষোলয় পৌঁছে যাবেন সুনীলরা। ইউএই থাইল্যান্ডকে হারালে ভারত গ্রুপে রানার আপ হবে। নাহলে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যাবে।
বিজয় নাগ
৭৬ বছরের বিজয় নাগ একটি প্রাইভেট ফার্মের অডিটর ছিলেন। যখন তাঁর ৩১ বছর বয়স, প্রথমবার নেতাজির সাক্ষাৎ পান তিনি। এরপরে ১৯৭০-১৯৮৫ সালের মধ্য়ে মোট ১৪ বার ভগবানজী ওরফে গুমনামী বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর।
এমনকী ভগবানজীর অনুরোধে নেতাজির মা, বাবা ও স্কুল শিক্ষকের ছবিও জোগাড় করে দেন বলে জানিয়েছেন বিজয়বাবু।
বাহরিনের বিরুদ্ধে ড্র, আমিরশাহির জয়
বাহরিনের বিরুদ্ধে ভারত ড্র করলে অপর ম্যাচে থাইদের বিরুদ্ধে আমিরশাহিকে জিততে হবে। সেক্ষেত্রে ইউএই ৭ পয়েন্ট নিয়ে থাকবে গ্রুপ শীর্ষে। আর ভারত ৪ পয়েন্ট নিয়ে হবে দ্বিতীয়।
পবিত্র মোহন রায়
এনআইএ-র গোপন এজেন্ট ছিলেন পবিত্র মোহন রায়। ১৯৬২ সালের ডিসেম্বরে তিনি ভগবানজীর সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে।
দুটি ম্যাচই ড্র
যদি ভারত বনাম বাহরিন ও ইউএই বনাম থাইল্যান্ড দুটি ম্যাচই ড্র হয়, সেক্ষেত্রেও ভারত গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে যাবে। এই ক্ষেত্রে ভারত ও থাইল্যান্ড দুই দলের পয়েন্টই ৪ হলেও ভারত মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে থাকায় গ্রুপে দ্বিতীয় হবে।
অতুল সেন
নেতাজির সহযোগী ছিলেন অতুল সেন। ১৯৬২ সালের এপ্রিলে নিমসারে ভগবানজীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। পরে কলকাতায় ফিরে পবিত্র মোহন রায় ও ইতিহাসবিদ আরসি মজুমদারের কাছে এবিষয়ে জানান তিনি।
অতুলবাবু এমনকী সে খবর চিঠি লিখে জওহরলাল নেহরুকেও জানিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বাহরিনের বিরুদ্ধে ড্র, থাইল্যান্ডের জয়
যদি ভারত বাহরিনের বিরুদ্ধে ড্র করে ও থাইল্যান্ড আয়োজকদের হারিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ড হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আমিরশাহি থাকবে তাদের পরেই। ভারতকে নির্ভর করতে হবে ভাগ্যদেবীর উপর। আশা করতে হবে ৬ তৃতীয় স্থানাধিকারীর মধ্যে সেরা চারে থাকার।
সুনীল গুপ্ত
নেতাজির অন্তর্ধানের পরপর এই সম্পর্কিত নানা খবর ও গুজব সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নেতাজির দাদা সুরেশচন্দ্র বসু সুনীল গুপ্তকে নিয়োগ করেন।
জানা গিয়েছে, এরপরে প্রায় ২ দশক নেতাজির সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করেন সুনীলবাবু। ১৯৬২ সালে নিমসারে প্রথম দেখা হয় দুজনের। শেষবার ফৈজাবাদে দুজনে শেষ দেখা করেন।
বাহরিনের বিরুদ্ধে পরাজয়
বাহরিনের বিরুদ্ধে হেরে গেলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার অঙ্কটা ভারতের জন্য খুবই কঠিন হযে যাবে। অন্যান্যদের ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করতে হবে। যদি থাইল্যান্ড আমিরশাহির বিরুদ্ধে জেতে বা ড্র করে সেক্ষেত্রে ভারতকে গ্রুপে চতুর্থ হয়ে বিদায় নিতে হবে। আর যদি থাইল্যান্ড হারে তবে ভারত হবে গ্রুপে তৃতীয়। অপেক্ষা করতে হবে সেরা চার তৃতীয় স্থানাধিকারীর মধ্যে থাকার আশা নিয়ে।
লীলা রায়
বিজয় নাগের মাসি ছিলেন লীলা রায়। যিনি ১৯২২-১৯৪১ সাল পর্যন্ত নেতাজির সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ১৯৬৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি নেতাজিকে টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রীতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রীতাদেবীকে স্নেহ করে 'ফুলবা রানি' ও তাঁর স্বামীকে 'বাছা' বলে সম্বাধন করতেন ভগবানজী। রীতাদেবী জানিয়েছেন, কখনও ভগবানজীর চোখের দিকে তাঁকানো যেত না, এতটাই দৃপ্ত ও শক্তিশালী ছিল সেই দৃষ্টি।
জ্ঞানী গুরজিৎ সিং খাসলা
ব্রহ্মকুণ্ড গুরদ্বার সাহিবের প্রধান হলেন গুরুজিৎজী। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ভগবানজীর সাক্ষাৎ পান বলে জানা গিয়েছে।
সরস্বতীদেবী
নেতাজি ওরফে ভগবানজীর ও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা মানুষদের জন্য নিজে হাতে রান্না করতেন সরস্বতীদেবী, এমনটাই জানা গিয়েছে।