আইলিগের বাকি একমাস, কর্তাদের ব্যর্থতায় লাল-হলুদ পড়ল বেনজির শাস্তির কবলে
আগামী ট্রান্সফার উইন্ডো অবধি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফুটবলার ট্রান্সফারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
আইলিগের মাত্র একমাস আগে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে বড় সড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। ফেডারেশনের শাস্তির কবলে পড়ে, আগামী ট্রান্সফার উইন্ডো, অর্থাত আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবধি নতুন কোনও ফুটবলার নিতে পারবে না লালহলুদ শিবির।
ঘটনার সূত্রপাত সুখদেব সিংকে নিয়ে। গত বছর মিনার্ভা পঞ্জাবের হযে দারুন ফর্মে ছিলেন এই ফুটবলারটি। কলকাতার দুই প্রধানেরই চোখ ছিল তাঁর দিকে। প্রথমে সুখদেব ইস্টবেঙ্গলেই সই করেন। এরপর আবার তিনি সই করেন সবুজ মেরুনেও। ফলে তিনি কোন দলে খেলবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। নিষ্পত্তি চেয়ে ফেডারেশনে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই কাণ্ডে মুখ পুড়ল ইস্টবেঙ্গলেরই।
সুখদেব সিংয়ের সঙ্গে মিনার্ভা পাঞ্জাবের আরও এক বছরের চুক্তি ছিল। কোনও চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়কে অন্য ক্লাবে নিতে গেলে তাঁর আগের ক্লাবকে ট্রান্সফার ফি দিতে হয়। কিন্তু অভিযোগ সুখদেবের ক্ষেত্রে মিনার্ভা দেব দেব করে, এক পয়সাও ট্রান্সফার ফি ঠেকায়নি ইস্টবেঙ্গল। এর ফলে ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির শাস্তির মুখে পড়তে হল লাল হলুদকে।
তবে শুধু ইস্টবেঙ্গল ক্লাবই নয়, শাস্তি দেওয়া হয়েছে সুখদেব সিংকেও। ৪ মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন তিনি। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে একটাই স্বস্তির খবর তাঁদের নবতম দুই বিদেশী বোরহা গোমেজ পেরেজ ও এনরিকে এসকেদার সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়ে যাওয়ায় তাদের সই করাতে সমস্যায় পড়তে হবে না গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে।
স্পষ্টতই কর্তাদের ব্যর্থতাতেই মুখ পুড়লে লাল হলুদের। ক্লাবের ফুটবল সচিব রাজা মিত্র অবশ্য এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টাই করেছেন। ফেডারেশনের শাস্তির কথা তিনি মেনে নিয়েছেন। জানিয়েছেন এই নিয়ে তাঁদের নাকি অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ক্লাবে আলোচনা করেই পরবর্তী সেইসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।