মোহনবাগান ম্যাচে গোলযোগের শাস্তি পেল আইজল , আর্থিক জরিমানা-নিবার্সনের শাস্তি এআইএফএফের
আইজল এফসিকে শাস্তি দিল এআইএফএফ। মোটেই ভালো যাচ্ছে না গত মরশুমের আইলিগ জয়ীদের এ মরশুম।
শাস্তি পেল আইজল এফসি। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের দিন তাঁদের প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলকে বিশ্বাসঘাতক বলে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইজল সমর্থকরা। আর ২৫ জানুয়ারি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে অসন্তোষে চরম আকার নেয়। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন ঝামেলার জন্যই শাস্তির খাড়া নেমে এল তাদের ওপর।
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মেগা এনকাউন্টারের আগে নেইমারদের বার্তা ]
২৫তারিখ মোহনবাগান বনাম আইজল ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মননদীপ সিংয়ের স্পট কিক আইজলের তিন পয়েন্টের আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল। এরপরেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ আইজল সমর্থকরা এরপরেই মাঠে বোতল ছুঁড়তে শুরু করেন। এরপর ২৭ তারিখ মোহনবাগান বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়ের করেছিল এআইএফএফে-র কাছে। অবশেষে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন।
এআইএফএফের- শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি -র উষানাথ বন্দোপাধ্যায় বিবৃতি জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, 'সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর এবং এএফসি-র প্রেসিডেন্ট রবার্ট রয়েটের সঙ্গে কথা বলে আইজল এফসি পুরো ঘটনার জন্য দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে। ২৫ তারিখ আইজল ও মোহনবাগান ম্যাচে যা ঘটেছিল তার জন্য আইজল কর্তৃপক্ষ দায়ি। '
[আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-তে প্রথম হার, হারের ময়না তদন্তে বিরাট]
দলকে দোষী সব্যস্ত করা -র পাশাপাশি হিমাঙ্গনাথন সাঙ্গাকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে তিনি ই রেফারির উদ্দেশ্যে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন, তাঁকে চার ম্যাচের জন্য বেঞ্চে বসতে দেওয়া হবে না। এদিকে ক্লাবের ওপর ৩ লক্ষ টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। তবে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের অপরাধ আরও মারাত্মক কারণ এতসব কিছু সত্ত্বেও দোষীদের আটকানোর কোনও চেষ্টা ক্লাব করেনি। তবে ৩ লক্ষ টাকাটা তাঁদের ক্লাবের আর্থিক সঙ্গতির কথা মাথায় রেখেই ধার্য করা হয়েছে। নইলে যে মারাত্মক দোষ তাঁরা করেছেন তাতে শাস্তি আরও বড় অর্থের জরিমানা হতে পারত।
পাশাপাশি আইজলকে নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন জয়ী দলেক দর্শকদের জন্য আরও বেষ্টনী তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।