ব্রাজিল-আর্জেন্তিনার কতটা সুযোগ আছে বিশ্বকাপে, কী বলছেন প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, জেনে নিন
আসন্ন বিশ্বকাপে উন্নতমানের এবং স্মরণীয় ফুটবল দেখার আশা করছেন মানস ভট্টচার্য।
আর এক সপ্তাহ বাকি নেই ফিফা ওর্য়াল্ড কাপ ২০১৮ শুরু হতে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা প্রতিটি দেশই। বিশ্বকাপের উত্তেজনায় ফুটছেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। বিশ্বকাপের আগে মাইখেল বাংলার সঙ্গে বিশ্বকাপের আড্ডায় সেই উত্তেজনাই ধরা পড়ল মানস ভট্টাচার্যের গলায়।
প্রশ্ন:
২০১৮
ফুটবল
বিশ্বকাপে
কেমন
খেলা
আশা
করছেন
দলগুলির
থেকে?
উত্তর:
বিশ্বকাপ
মানেই
নতুনত্ব।
ক্লাব
ফুটবলে
আমরা
বিভিন্নি
ফুটবলারকে
বিভিন্ন
স্ট্র্যাটেজিতে
খেলতে
দেখি।
কিন্তু
বিশ্বকাপে
দেখার
বিষয়ে
সেই
ফুটবলারকে
সেই
দেশের
কোচ
কী
ভাবে
ব্যবহার
করছে।
পাশাপাশি
কোন
দল
সেটপিস
মুভমেন্টে
কী
ধরনের
নতুনত্ব
আনছে,
সেই
দিকেও
নজর
থাকবে।
প্রশ্ন:
বিশ্বকাপে
খেতাবি
লড়াইয়ে
আপনি
কাকে
এগিয়ে
রাখছেন?
উত্তর:
কোনও
একটা
দলকে
এগিয়ে
রাখা
মুশকিল।
আমার
মনে
হয়
ব্রাজিল-জার্মানি-স্পেন-ফ্রান্স
এবং
আর্জেন্তিনার
মধ্যেই
কোনও
একটা
দল
এই
বার
বিশ্বকাপ
জিতবে।
নতুন
দলের
পক্ষে
খেতাব
জেতাটা
সহজ
হবে
না।
প্রশ্ন:
আসন্ন
বিশ্বকাপে
আপনার
ডার্ক
হর্স
কে?
উত্তর:
রাশিয়া
বিশ্বকাপে
আমার
ডার্ক
হর্স
বেলজিয়াম।
১৯৮৬
সালের
পর
এত
ভাল
বেলজিয়াম
দল
আমি
দেখিনি।
ইউরো
কাপে
ভাল
ফল
করতে
না
পারলেও
গতি,
অ্যাটাকিং
ফুটবল
এবং
বৈচিত্রের
উপর
ভিত্তি
করে
আমি
বেলজিয়ামকেই
ডার্ক
হর্স
হিসেবে
এগিয়ে
রাখব।
প্রশ্ন:
এই
বিশ্বকাপে
আর্জেন্তিনার
কতটা
সম্ভবনা
রয়েছে
বলে
মনে
হয়?
উত্তর:
আর্জেন্তিনা
খেতাব
জিতবে
এই
আশা
বরাবরই
থাকে।
কিন্তু
গত
বার
এক
কাছে
গিয়েও
সেই
সুযোগ
ওরা
হাতছাড়া
করেছে
কারণ
হিগুয়েন-মেসিরা
নিজেদের
নামের
প্রতি
সুবিচার
করতে
পারেনি
ফাইনালে।
ক্লাব
ফুটবলে
এরা
যতটা
সফল,
ততটা
সাফল্য
পায়
না
দেশের
জার্সিতে।
তবে,
এই
বারের
দলটার
মধ্যে
প্রতিভা
আছে।
বিশেষ
করে
ডিবালার
উপর
নজর
থাকবে
আমার
এই
বিশ্বকাপে।
ওটামেন্ডি-মাসচারেনোরা
ভাল
খেলতে
পারলে
এই
বার
আশা
রয়েছে
আর্জেন্তিনার।
তবে,
এই
দলটার
মূল
কাণ্ডারী
মেসি।
১৯৮৫
সালে
মারাদোনা
যে
ফুটবলটা
খেলেছিল,
এবার
সেই
ফুটবলটা
খেলে
দেখাতে
হবে
মেসিকে।
প্রশ্ন:
বিগত
তিনটি
বিশ্বকাপে
প্রত্যাশা
মতো
ভাল
ফল
করতে
পারেনি
ব্রাজিল।
এই
বার
কী
ফের
একবার
স্বমহিমায়
দেখা
যাবে
নেইমারদের?
উত্তর:
আসন্ন
বিশ্বকাপের
জন্য
যে
দল
তৈরি
করেছে
ব্রাজিল
তা
যথেষ্ট
শক্তিশালী।
দলের
অধিকাংশ
প্লেয়ারই
তরুণ।
ফলে
শেষ
মিনিট
পর্যন্ত
লড়াই
চালাবে
ব্রাজিল,
এটা
আশা
করাই
যায়।
পাশাপাশি
উইলিয়ান,
নেইমার,
কুর্টিনহোর
মতো
ফুটবলাররা
শক্তি
বাড়িয়েছে
ব্রাজিলের।
এইবারে
ব্রাজিলের
ডিফেন্সটাকেও
বেশ
জমাটি
লাগছে।
ওদের
রিজার্ভ
বেঞ্চও
অনেকটাই
শক্তিশালী।
নিজেদের
যোগ্যতা
অনুযায়ী
খেললে
এই
বার
চ্যাম্পিয়ন
হতেই
পারে
ব্রাজিল।
প্রশ্ন:
বিশ্বকাপে
ইটালির
না
থাকাটা
কী
ভাবে
দেখছেন?
উত্তর:
ইটালি
থাকা
মানেই
রক্ষণভাগে
নতুনত্বের
আমদানি।
নতুন
স্ট্র্যাটেজি
থেকে
ট্যাকটিস
-সব
কিছুই।
কিন্তু
বিশ্বকাপের
যোগ্যতা
অর্জন
করতে
না
পারলে
তো
আর
কিছু
করার
থাকে
না!
ইতালিকে
খুবই
মিস
করবো
বিস্বকাপে।
পাশাপাশি
মিস
করবো
বুফনকেও।
ও
থাকাটা
একটা
ফ্যাক্টর।
ইটালি
বিশ্বকাপে
না
থাকায়
ব্যক্তিগতভাবে
আমি
হতাশ।