জার্সির মতোই বিবর্ণ আর্জেন্তিনার ফুটবল, পেনাল্টি নষ্ট করে শুরুতেই ‘ভিলেন’ মেসি
বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে মরিয়া মেসি, প্রথম ম্যাচেই হতাশ করলেন। প্রায় পুরো ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর ৬২ মিনিটে পেনাল্টি নষ্ট করে ফের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের চোখে ভিলেন বনে গেলেন।
বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে মরিয়া মেসি, প্রথম ম্যাচেই হতাশ করলেন। প্রায় পুরো ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর ৬২ মিনিটে পেনাল্টি নষ্ট করে ফের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের চোখে ভিলেন বনে গেলেন। রোনাল্ডো যেখানে পেনাল্টি, ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত গোল উপহার দিয়ে একক দক্ষতায় স্পেনের বিরুদ্ধে হার ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নিয়ে এলেন, সেখানে মেসি পেনাল্টি নষ্ট করে বিপাকে ফেলে দিলেন আর্জেন্তিনাকে।
এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি নষ্ট করে মেসি ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরই জাতীয় দলের জার্সিতে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অবসর ভেঙে ফিরে এসেও নীল-সাদা জার্সিতে ফিকেই রয়ে গেলেন মেসি। সারা ম্যাচে মেসিকে বোতলবন্দি করে রেখে দিলেন বিপক্ষকে খেলোয়াড়রা। পেনাল্টি থেকে নেওয়ার মেসির শটও আটকে দিয়ে নায়ক বনে গেলেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হালর্ডসন।
প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটেই আগুয়েরোর দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যেই প্রত্যাঘাত করে আইসল্যান্ডকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ফিনবোগাসন। আর্জেন্তিনা রক্ষনের ভুলে গোল শোধ করে যায় আইসল্যান্ড। প্রথমার্ধজুড়ে বল পজিশনে সিংহভাগ দখল রাখলেও, ম্যাচের ফল ১-১। এদিন প্রথমার্ধের খেলায় মেসিদের রাজ করতে দেয়নি আইসল্যান্ড।
৭৪ শতাংশ বল পজেশন ছিল আর্জেন্তিনার। আর প্রথম ৪৫ মিনিটে মেসিকে জোনাল মার্কিংয়ে আটকে দিয়ে বাজিমাত করল আইসল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা। মাত্র একবার মেসি ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে গোল অভিমুখে ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন। তবে তা গোলে পর্যবসিত হয়নি। আগুয়েরো ম্যাচের ১৮ মিনিটে অনবদ্য দক্ষতায় গোল করেন।
এছাড়া মেসির দুটি ফ্রিকিক থেকে গোল হতে পারত। মেসির ফ্রি-কিকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ট্যাগলিয়াফিকো মাথা ছোঁয়ালেও একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ কয়েকবার আর্জেন্টিনার ডিফেন্সকে নাড়িয়ে দেন আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা।
এদিন আর্জেন্তিনার হয়ে খেলেন গোলে কাবোয়েরো। চার ডিফেন্ডার মেকার্ডো, ওটামেন্ডি, ফাজিও, তাগালিয়াফিকো। ডিফেন্সিভ হাফে মাসচেরানো ও বিগলিয়া। অ্যাটাকিং হাফে মেজা, মেসি ও ডিমারিয়া। আর একমাত্র ফরোয়ার্ড আগুয়েরো।
আইসল্যান্ডের হয়ে খেলেন গোলে হালর্ডসন, চার ডিফেন্ডার সিগুর্ডসন, স্কুলাসন, এইজম্ফসন, আর্নাসন। মাঝমাঠে বিয়ার্নাসন, গিলফি সিগুর্ডসন, হালফ্রেন্ডসন, ও গুডমুন্ডসন। সিগুর্ডারসন ও ফিনবোগাসন আক্রমণভাগে।