বিশ্বকাপে মেসি অধ্যায়ের এক যুগেও ঘোচেনি আক্ষেপ, এবারও আশার এক নাম আর্জেন্তিনা
বিশ্বকাপে এক যুগ আগে অভিষেক হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে যে অভিযান শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে।
বিশ্বকাপে এক যুগ আগে অভিষেক হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে যে অভিযান শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে। কিন্তু বিশ্বের তাবড় ফুটবলারদের পিছনে ফেলে নিজেকে অন্যগ্রহে রূপান্তরিত করলেও জাতীয় দলের হয়ে আশাতীত সাফল্য পাননি তিনি। এবার কি সেই অপেক্ষার অবসান হবে? বিশ্বকাপের আলোচনায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সেই কথা।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ৭৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেই গোল পেয়েছিলেন জাতীয় ক্লাবের জার্সিতে। তারপর জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর ১২৪টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে, গোল সংখ্যা ৬৪। তিনবার নীল-সাদা জার্সিতে কাপ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এবার সেই অধরা মাধুরি ধরতে প্রত্যয়ী মেসি।
এবার কতটা তৈরি আর্জেন্তিনা। কতটা আশা, কোথায় আশঙ্কা। তা নিয়ে পর্যালোচনায় এক বাক্যে বলা যায়, আর্জেন্তিনার যা ফরোয়ার্ড লাইন তাতে আশা করা যায়ই, কিন্তু সেইমতো সাফল্য পায়নি কেউই। ক্লাবের হয়ে মাঠ দাপালেও জাতীয় দলের জার্সিতে সবাই-ই ম্লান। মেসি থেকে আগুয়েরো, হিগুয়েন থেকে দিবালা, কেউই এখনও পর্যাপ্ত সাফল্যে পাননি।
তবে আর্জেন্তিনা গত মরশুম থেকেই ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে। তারপর গ্রুপ পর্যায়ে ঐতিহ্য রয়েছে। ১২টি বিশ্বকাপের মধ্যে ১১টিতে নকআউটে গিয়েছে আর্জেন্তিনা। ১৫টি ম্যাচের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছে, দুটিতে ড্র, হার মাত্র একটিতে। ১৯৯৪ সাল থেকে আর্জেন্তিনা টানা ছয় বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে হারেনি।
উল্টোদিকে, আর্জেন্তিনা অতিরিক্ত মেসি নির্ভর। যোগ্যতা আর্জন পর্বে আক্রমণভাগের ফুটবলারদের গোল খরা চাপে রাখবে মেসিদের। আর্জেন্তিনা মাত্র ১৯টি গোল করতে সক্ষম হয়েছে। এই পরিসংখ্যান মেসিদের কাছে বিস্ময়ের। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বলিভিয়ার থেকে বেশি গোল করেছিল মেসিরা। রাশিয়া আসার আগে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্তিনা। তার উপর দলের এক নম্বর গোলরক্ষক সের্গেই রোমেরো চোট।