পেনাল্টি মিসে মেসি ‘ভিলেন’ ঠিকই, ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট আইসল্যান্ডের সমতা ফেরানো
মেসির পেনাল্টি মিসে হৃদয় ভেঙে গেল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে পেনাল্টি মিস করে নিজে যেমন ভিলেন বনে গেলেন, তেমনই দেশকে ফেলে দিলেন বিপাকে।
মেসির পেনাল্টি মিসে হৃদয় ভেঙে গেল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে পেনাল্টি মিস করে নিজে যেমন ভিলেন বনে গেলেন, তেমনই দেশকে ফেলে দিলেন বিপাকে। প্রথম ম্যাচেই আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে ধাক্কা খেল আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ অভিযান। দ্বিতীয়ার্ধের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মেসির পেনাল্টি মিসই ম্যাচের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
মেসির পেনাল্টি মিসের পরও জাগল না আর্জেন্তিনা। তাদের যাবতীয় জারিজুরি শেষ হয়ে গেল আইসল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে। সেই কারণেই ৭৫ শতাংশ বল দখল রেখেও ড্র করে ফিরতে হল মেসিদের। টার্গেটে ১০ বার বল রাখলেও কাজের কাজ হল না পরিকল্পিত আক্রমণের অভাবে।
বরং পরিকল্পিত খেলে আর্জেন্তিনাকে আটকে দিল আইসল্যান্ড। শুরুটা মন্দ হয়নি আর্জেন্তিনার। আইসল্যান্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল প্রথম ২০ মিনিট। প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটেই আগুয়েরোর দুরন্ত গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্তিনা। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অর্থাৎ ম্যাচের ২৩ মিনিটে যে প্রত্যাঘাত করে বসল আইসল্যান্ড, ব্যস তখনই খেলায় হারিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।
দেখতে গেলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট খেলার গতির বিরুদ্ধে আইসল্যান্ডের গোল তুলে নেওয়াটাই। আইসল্যান্ডকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ফিনবোগাসন। আর্জেন্তিনা রক্ষনের ভুলে গোল শোধ করে যায় আইসল্যান্ড। এরপর সারা ম্যাচে বল পজিশনের সিংহভাগ রাখলেও, ম্যাচের ফল শেষমেশ ১-১। জয়ের সুযোগ এসেছিল, তা হাতছাড়া করেন মেসি। এই সুযোগ খেসারত তাদের দিতে হয় কি না সময়ই বলে দেবে।
বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে মরিয়া মেসি, প্রথম ম্যাচেই হতাশ করলেন। প্রায় পুরো ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর ৬২ মিনিটে পেনাল্টি নষ্ট করে ফের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের চোখে ভিলেন বনে গেলেন। এজিন ম্যাচে তাঁকে সে অর্থে মরিয়া মনে হয়নি। এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি নষ্ট করে মেসি ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন। এবার বিশ্বকাপের মঞ্চেও সেই কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিও মেসি।