আর্সেনাল ছাড়তে কি বাধ্য করা হয়েছিল ওয়েঙ্গারকে, জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ ওয়েঙ্গার
আর্সেনাল এবং আর্সেন ওয়েঙ্গার এই নাম দু'টি সমর্থক ছিল কয়েক দিন আগে পর্যন্তও। কিন্তু হঠাৎই আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে বদলে যায় সব কিছু। দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আর্সেনা
আর্সেনাল এবং আর্সেন ওয়েঙ্গার এই নাম দু'টি সমর্থক ছিল কয়েক দিন আগে পর্যন্তও। কিন্তু হঠাৎই আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে বদলে যায় সব কিছু।
দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আর্সেনাল ছাড়ার কথা গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি আর্সেন ওয়েঙ্গার। তিনি জানিয়েছিলেন দীর্ঘ দিন আর্সেনালকে কোচিং করানোর পর এই মরসুমে শেষে তিনি বিদায় নিতে চলেছেন আর্সেনাল থেকে। এটা তাঁর এবং ক্লাব আধিকারিকদের মিলিত সিদ্ধান্ত। তাঁর সঙ্গে সহযোগীতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ফুটবলার এবং ক্লাব কর্তাদেরও।
কিন্তু
পদত্যাগ
ঘোষণার
এক
সপ্তাহ
ঘুরতে
না
ঘুরতেই
বোমা
ফাটালেন
আর্সেনালকে
তিন
বার
প্রিমিয়ার
লিগ
চ্যাম্পিয়ন
করা
কোচ।
আর্সেনালের
কোচের
পদ
থেকে
বিদায়
নেওয়ার
সিদ্ধান্তের
পুরোপুরি
যে
তাঁর
হাতে
ছিল
না
তা
জানিয়ে
দিলেন
ওয়েঙ্গার।
শরীরী
ভাষায়
বুঝিয়ে
দিলেন
তিনি
সরতে
চাননি
তাঁকে
সরিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
এক
সাংবাদিকের
প্রশ্নের
উত্তরে
শুধু
একটি
বাক্যেই
বুঝিয়ে
দেন
তাঁর
ইচ্ছের
বিরুদ্ধেই
এই
সিদ্ধান্ত
নিতে
তাঁকে
বাধ্য
করা
হয়েছিল।
তিনি
বলেন,
'সময়টা
আমার
হাতে
ছিল
না।
কোন
সময়
সরে
যাব
সেই
সিদ্ধান্তটা
আমার
ছিল
না।'
আর্সেন ওয়েঙ্গার যে নিজে থেকে সরে যাওয়ার লোক নন, তা তাঁর এই সিদ্ধান্তের পরই জানান হয়েছিল ঘনিষ্ঠ মহলে থেকে। তাঁর প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যেও কেউ কেউ জানিয়ে ছিলেন ওয়েঙ্গারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। সকলের সন্দেহই সত্যি হল ওয়েঙ্গারের এই বক্তব্যে।
যাঁরা রীতিমত বিদেশি ফুটবলের খবর রাখেন তাঁরা ভালো মতোই জানেন দীর্ঘ দিন ধরে আর্সেনালের কয়েকজন অংশীদারের পছন্দ ছিল না আর্সেন ওয়েঙ্গারকে। বিভিন্ন বিষয়ে মতো বিরোধও চলছিল। তাঁকে সরে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। অবশেষে চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিতে হয় ওয়েঙ্গারকে।