কৃষ্ণা-ইউলিয়ামস যুগলবন্দিতে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে আইএসএল শীর্ষে এটিকে
আইএসএল-এ নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে উঠে এল এটিকে। রয় কৃষ্ণার দুটো ও উইলিয়ামসের একটি গোলের সুবাদে হাইল্যান্ডারসদের হারায় আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। ৭ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্টে নিয়ে লিগ শীর্ষে এটিকে। এদিকে বেঙ্গালুরু থেকে সম পরিমাণ ম্যাচ খেলে এক পয়েন্ট পেছনে বেঙ্গালুরু রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
শনিবার সন্ধ্যায় এটিকের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামার আগে চলতি মরশুমে অপরাজিত ছিল রবার্ট ইয়ার্নির নর্থইস্ট। তবে জয়ের দেখা পাচ্ছিল না দল। এদিকে আগের ম্যাচে রয় কৃষ্ণার শেষ মিনিট গোলে কোনও মতে মান রক্ষা হয় এটিকের। এই পরিস্থিতিতে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুই দল।
ম্যাচের প্রথম দিকেই দুর্দান্ত দলকে এগিয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন নর্থইস্টের বিশ্বকাপার আসামোয়া জিয়ান। তবে অরিন্দমের উপস্থিত বুদ্ধি ও সঠিক বডি প্লেসমেন্টের কারণে রক্ষা পায় এটিকে। এরপর ম্যাচের নবম মিনিটেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় ঘানার স্ট্রাইকার। আর এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নর্থইস্ট।
জিয়ান মাঠ ছাড়ার দুই মিনিট পরেই নর্থইস্টের জালে বল জড়িয়ে এটিকে-কে এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ডান দিক থেকে প্রবির দাসের নিখুঁত পাসে হেড করে নর্থইস্টের সুভাশিষ ও ডিপেন্ডারদের চকমা দেন উইলিয়ামস। এর কিছুক্ষণ পরেই আরও একটি সুযোগ পান রয় কৃষ্ণা। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
তবে ৩৪ মিনিটে এটিকে-কে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। উলিয়ামসের অ্যাসিস্টে ডিফেন্ডারকে চকমা দিয়ে বা পায়ের নিখুঁত প্লেসমেন্টে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ব্যবধান কমানোর দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল নর্থইস্ট। হাইল্যান্ডারসদের পক্ষে ট্রিয়াদিসের জোড়ালো শট নিজের বা দিকে ঝাপিয়ে বাঁচিয়ে দেন অরিন্দম।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ বাড়াতে থাকে এটিকে। ৫৩ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রয় কৃষ্ণা। এর ৯ মিনিট পর আরও একটি সুযোগ পান উইলিয়ামস। তবে সুভাশিষের তৎপরতায় স্কোরলাইনে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কলকাতা। অনেক সুযোগ হাতছাড়া করার পরও শেষ পর্যন্ত তৃতীয় গোলটি করে কলকাতা। অতিরিক্ত সময়ের খেলার শেষ লগ্নে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে মাঠ ছাড়েন কৃষ্ণা।
ম্যাচে এটিকে বলের উপর দখল বিপক্ষের থেকে কম থাকলেও গোল অভিমুখে শটের নিরিখে নর্থইস্টকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দেয় হাবাসের দল। সারা ম্যাচে কলকাতার বলের উপর দখল ছিল মাত্র ৩৪ শতাংশ। তবে শট নিয়েছে ১৭টি, যার মধ্যে গোলে শট ছিল ৭টি।