বিরক্তিকর ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম ম্যাচে আদনানের বিশ্বমানের গোলটাই প্রাপ্তি
গ্রুপ জি-র শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে চলে গেল বেলজিয়াম।
গ্রুপ জি-র শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে চলে গেল বেলজিয়াম। ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ফেলাইনি, লুকাকু, হ্যাজার্ডের দল। ৯ পয়েন্ট নিয়ে পরের পর্বে গেল তাঁরা। এদিকে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরে ৬ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে পরের রাউন্ডে গেল।
এই ম্যাচের আগে দুই দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছিল। পরের রাউন্ডও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। গ্রুপের অন্য দুটি দল তিউনিশিয়া ও পানামা ২টি করে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। ফলে এদিন হারলেও ইংল্যান্ড অথবা বেলজিয়াম দুই দলই পরের রাউন্ডে উঠতো। ফলে নক আউটে নামার আগে দুই দলই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়দের কিছুটা বিশ্রাম দিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চের ক্ষমতা যাচাই করে নিতে চেয়েছিল।
ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট দলে ৮টি পরিবর্তন আনেন। বেলজিয়ামও দলে পরিবর্তন আনে। হ্যাজার্ড, লুকাকুরা কেউ খেলেননি। প্রথমার্ধে দুই দলই সাবধানী শুরু করে। বেলজিয়াম বেশি আক্রমণাত্মক ছিল। ইংল্যান্ড সাবধানে খেলছিল।
এভাবেই প্রথমার্ধ গোলশূল্যভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫১ মিনিটে বাঁ পায়ে বিশ্বামানের গোল করে বেলজিয়ামকে এগিয়ে দেন আদনান। তারপরেও একেবারে শেষ ১৫ মিনিটে একাধিক সুযোগ বেলজিয়াম তৈরি করে ফেলেছিল। তবে আর গোল আসেনি।
এদিকে ইংল্যান্ড প্রথমে সাবধানী খেলতে খেলতে ব্যাক পাস ও স্কোয়ার পাস করে করে বিরক্তিকর ফুটবল খেলতে শুরু করে। দেখেই মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিততে মাঠে নামেনি ইংল্যান্ড।
এদিন অধিনায়ক হ্যারি কেন সহ অনেকজন প্রথম দলের খেলোয়াড়কে নামাননি সাউথগেট। দলও ছন্দে খেলেনি। নক আউটে তা বিপদে ফেলতে পারে ইংল্যান্ডকে। আপাতত এই ম্যাচে গ্যালারির দর্শককে বিরক্তিকর ফুটবল উপহার দিয়ে দুই দল মাঠ ছাড়ল।